Dinhata Police News: বিনা ‘অভিযোগে’ আটক, পড়েছে পুলিশের মার! ফাঁড়ি থেকে পালিয়ে হাসপাতালে সঞ্জয়
Dinhata News: কী অভিযোগের ভিত্তিতে পাকড়াও করা হচ্ছে তাঁদের, সেই প্রশ্ন পুলিশকে করেছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু সদুত্তর দেয় না তারা। জানায়, গাড়ি দুর্ঘটনার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। সঞ্জয়ের কথায়, 'পরে ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে আমাদের হুমকি দিয়ে বলে, টাকা দে না হলে গাঁজার কেস দেব।' তাঁর আরও অভিযোগ, 'মামলার ভয়ে দুই বন্ধু তিন লক্ষ টাকা দিয়ে ছাড়া পেয়ে যায়। কিন্তু আমাকে ওরা আটক করে রাখে। মারধর করে। চারদিন ধরে ওই ফাঁড়িতেই ছিলাম। তারপর যা হোক করে পালিয়ে আসি।'

কোচবিহার: কোনও অভিযোগ ছাড়াই তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁকে চারদিন ধরে আটকে রাখে। কিন্তু তাঁরই বন্ধুদের ছেড়ে দেয় টাকার বিনিময়ে। এই সময়কালে তাঁর উপর চলে অকথ্য অত্যাচারে। যার চিহ্ন শরীরে স্পষ্ট। দিনহাটায় পুলিশের বিরুদ্ধেই ভয়াবহ অভিযোগ তুললেন এক ব্যক্তি।
কী বললেন তিনি?
অভিযোগকারীর নাম সঞ্জয় মণ্ডল। সম্প্রতি কলকাতা থেকে তাঁর দু’জন বন্ধু এসেছিলেন এই দিনহাটায়। নাম গোপাল চক্রবর্তী ও পরিতোষ দে। সঞ্জয় জানিয়েছেন, ‘আমি তো গরীব মানুষ। ওঁদের বাড়িতে থাকার জায়গা দিতে পারিনি। ওরা স্থানীয় একটা হোটেলে উঠেছিল। আমিও সেখানে গিয়েছিলাম, ওঁদের সঙ্গে দেখা করতে।’ কিন্তু সেই সময়ই তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। ধরে নিয়ে যায় সঞ্জয়ের ওই দুই বন্ধুকেও। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? কোন ভিত্তিতেই বা আটক?
সঞ্জয় জানিয়েছেন, দিনহাটা থানায় নয়, বরং তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভেটাগুড়ি ফাঁড়িতেই। কী অভিযোগের ভিত্তিতে পাকড়াও করা হচ্ছে তাঁদের, সেই প্রশ্ন পুলিশকে করেছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু সদুত্তর দেয় না তারা। জানায়, গাড়ি দুর্ঘটনার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। সঞ্জয়ের কথায়, ‘পরে ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে আমাদের হুমকি দিয়ে বলে, টাকা দে না হলে গাঁজার কেস দেব।’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘মামলার ভয়ে দুই বন্ধু তিন লক্ষ টাকা দিয়ে ছাড়া পেয়ে যায়। কিন্তু আমাকে ওরা আটক করে রাখে। মারধর করে। চারদিন ধরে ওই ফাঁড়িতেই ছিলাম। তারপর যা হোক করে পালিয়ে আসি।’
আপাতত দিনহাটারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সঞ্জয়। তাঁর দাবি একটাই, কর্তব্যরত পুলিশের সাজা হোক। অবশ্য, এই নিয়ে এফআইআর দায়ের করার চেষ্টা করলেও পুলিশ তা নেয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর পরিবারের। সঞ্জয়ের তোলা এই অভিযোগের ভিত্তিতে দিনহাটা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সঞ্জয়ের দাবিগুলিকে অর্ধসত্যই বলেই দাগিয়েছেন। পুলিশের দাবি, গাঁজা সংক্রান্ত বেআইনি কাজের জন্য ওই দু’জন এসেছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। টাকার কোনও বিষয়ই নেই। অবশ্য, পুলিশের এই দাবি মেনে নিলেও অভিযোগকারীর শরীর জুড়ে আঘাতচিহ্ন কীভাবে এল সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই
