Medical College: ‘দুর্ব্যবহার’ চিকিৎসকের, কোচবিহার মেডিক্যালে তুমুল বিক্ষোভ নার্সদের
Coochbehar MJN: কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে মহিলা বিভাগে এক রোগীর রক্ত সংগ্রহ করা নিয়ে বচসা বাধে এক চিকিৎসক ও নার্সের। বিক্ষোভকারী এক নার্স জানান, এক রোগীর ব্লাড নেওয়ার বিষয় ছিল। একটু সমস্যা হচ্ছিল। একজন ইন্টার্ন ছিল। তাই যে দিদি দায়িত্বে ছিলেন, বলেন ডাক্তারবাবুকে জানাতে। বিক্ষোভকারী নার্সদের দাবি, এটা বলায় চিকিৎসক বিরক্ত হন।
কোচবিহার: কর্তব্যরত এক নার্সকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। আর তা ঘিরেই তুমুল শোরগোল কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান নার্সরা। অভিযোগও জানান কর্তৃপক্ষের কাছে। মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি রাজীব প্রসাদ জানান, অভিযোগ পেয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে মহিলা বিভাগে এক রোগীর রক্ত সংগ্রহ করা নিয়ে বচসা বাধে এক চিকিৎসক ও নার্সের। বিক্ষোভকারী এক নার্স জানান, এক রোগীর ব্লাড নেওয়ার বিষয় ছিল। একটু সমস্যা হচ্ছিল। একজন ইন্টার্ন ছিল। তাই যে দিদি দায়িত্বে ছিলেন, বলেন ডাক্তারবাবুকে জানাতে। বিক্ষোভকারী নার্সদের দাবি, এটা বলায় চিকিৎসক বিরক্ত হন।
এ নিয়ে ব্যাপক কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই এক নার্সকে ধাক্কা মারার অভিযোগ ওঠে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এরপরই নার্সিং সুপারের ঘরের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন নার্সরা। বিক্ষোভকারী নার্সরা জানান, তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট শেফালি পুরকায়েত বলেন, “ওরা বলল একজন ডাক্তার খারাপ ব্যবহার করেছেন। একজন রোগীর ব্লাড নেওয়া নিয়ে সমস্যা। তবে কী হয়েছে সেটা আমি জানি না, যেহেতু আমি ছিলাম না। ওরা লিখিত দিয়েছে। আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
জিটিএ নেতা অনিত থাপা এ বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্যসচিবকে চিঠি দেন। ঘটনার তদন্তের দাবি করেন তিনি। লেখেন, বহু পাহাড়ি মেয়েও নার্সিং পড়তে যান। রাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশে তাঁরা কাজ করেন। নিরাপত্তা ও নারীর মর্যাদা যে কোনও ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। এ ধরনের ঘটনা তীব্র নিন্দার। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, দু’পক্ষকে মুখোমুখি বসিয়ে আলোচনা করা হয়।