Dinhata: দিনহাটায় জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়, নাম জড়াল তৃণমূল নেতার
Dinhata: তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং সাজানো বলে দাবি করলেন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জাকির মিঞা। তিনি বলেন, যে দুইজন ব্যক্তি খুন হয়েছেন, তাঁরা দুইজনেই সমাজবিরোধী এবং জেলে ছিলেন।
দিনহাটা: দিনহাটায় জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এক মৃতের স্ত্রীর। ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন। জোড়া খুনে নাম জড়াল স্থানীয় তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যর। জাকির মিঞা নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্য-সহ চারজন মিলে তাঁর স্বামীকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ করলেন মৃত হাসানুর রহমানের স্ত্রী সায়রা বানু বিবি। অপর ব্যক্তি বাধা দেওয়ায় তাঁকেও খুন করে বলে তাঁর অভিযোগ।
গতকাল রাতে ভেটাগুড়িতে ছুরিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ২ জনের। মৃতদের নাম ইউসুফ মিঞা ও হাসানুর রহমান। এদিন হাসানুরের স্ত্রী অভিযোগ করেন, ভেটাগুড়ির বালাডাঙা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য জাকির মিঞা এবং তাঁর সঙ্গীরা পুরনো শত্রুতা জেরে তাঁর স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছেন। ইউসুফকে খুনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর স্বামী হাসানুরকে যখন খুন করা হয়েছিল, সেই সময় ইউসুফ মিঞা তা দেখেন এবং বাধা দেন। তার জন্য তাঁকেও খুন করে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য এবং তাঁর সঙ্গীরা।
যদিও এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং সাজানো বলে দাবি করলেন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জাকির মিঞা। তিনি বলেন, যে দুইজন ব্যক্তি খুন হয়েছেন, তাঁরা দুইজনেই সমাজবিরোধী এবং জেলে ছিলেন। পাশাপাশি তাঁর নাম জড়ানো প্রসঙ্গে তৃণমূল এই নেতা বলেন, গতকাল রাতে অন্যদের মতো তিনিও বাজারে ছিলেন এবং চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন দু’জন পড়ে রয়েছেন। যেহেতু তিনি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য এবং পুরনো একটি মামলায় ইচ্ছে করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল, তাই এবারও তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
এই খবরটিও পড়ুন
এই ঘটনায় কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, প্রায় ১২ বছর আগে ইউসুফ মিঞা ও হাসানুর রহমানকে মাথাভাঙায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর থেকে ইউসুফ বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন এবং হাসানুর জামিন পান। অভিযোগ, জেল থেকে বের হয়ে ইউসুফের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন হাসানুর। কিন্তু, মহিলা রাজি না হওয়ায় ব্যর্থ হন। পরে আবারও বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হন হাসানুর। গত ৫ বছর তিনি বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন। ইউসুফের স্ত্রীকে কেন্দ্র করে হাসানুর এমন কার্যকলাপের কারণে সংশোধনাগারে হাসানুর ও ইউসুফের মধ্যে শত্রুতা বেড়ে যায়। কয়েকমাস আগে দু’জনেই ছাড়া পান।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মদ্যপ অবস্থায় ঝগড়া হয়েছিল দু’জনের। সেখানেই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই বাকি বিষয় পরিষ্কার হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।