Coochbehar: BJP থেকে আসা নেতাকে পদ দিয়েছে TMC, আনন্দে স্কুলের ভিতরেই ঘটে গেল সেই কাণ্ড
Coochbehar: এক সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সদস্য ছিলেন স্বপন বর্মণ। তবে দলত্যাগ করে গিয়েছেন তৃণমূলে। আর বছর ঘুরতেই মিলেছে পুরস্কার। সদ্য দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতির। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল।

কোচবিহার: রাজ্যের শাসকদলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন বলে কথা। সম্বর্ধনা দিতে হবে না! তাই ঘটা করে স্কুল চালাকালীনই তৃণমূল নেতাকে সম্বর্ধনা স্কুল। প্রধান শিক্ষকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি। আনন্দে প্রধান শিক্ষকও জড়ালেন তাঁকে। স্কুলের মধ্যে কি এভাবে রাজনৈতিক পদ পাওয়ার জন্য সম্বর্ধনা দেওয়া যায়? উঠছে প্রশ্ন। ঘটনাটি কোচবিহারের মাথাভাঙার ঘটনা।
এক সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সদস্য ছিলেন স্বপন বর্মণ। তবে দলত্যাগ করে গিয়েছেন তৃণমূলে। আর বছর ঘুরতেই মিলেছে পুরস্কার। সদ্য দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতির। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। তবে বাদ সাধল জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি হওয়ার পর তার স্কুল তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়ায়। পেশায় শিক্ষক স্বপন বর্মণকে স্কুলের ভিতরেই শিক্ষক ও শিক্ষিকারা সম্বর্ধনা দিয়েছেন। এখান থেকেই সূত্রপাত হল বিতর্কের। বিজেপি ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে ।
সম্প্রতি বিদ্যালয় চলাকালীন মাথাভাঙায় তার নিজের কর্মস্থল জোড়পাটকি উচ্চ বিদ্যালয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসাতেই সরকারি প্রতিষ্ঠানে দলীয় পদাধিকারীকে সম্বর্ধনা প্রদানের বিষয়ে নিয়ে প্রশ্ন তুলে কোচবিহার জেলা বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত বর্মণ। তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতির আখড়ায় পরিণত করেছে তৃণমূল।”
অপরদিকে, তৃণমূল নেতা তথা মাথাভাঙার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মণ জানান,”বিজেপির অন্য কোনও কাজ নেই। বিদ্যালয়ের সহকর্মীরা শুধুমাত্র সম্মান জানিয়েছেন। এতে খারাপ কিছু নেই, দোষেরও নেই। উনি তো ওই স্কুলেরই সহকর্মী।”
অপরদিকে, সম্বর্ধনা দিলেও এই নিয়ে অবশ্য নিজের সাফাই দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সূর্য নাথ বসুনিয়া। তিনি জানান, “এটা হঠাৎ করে হয়েছে। প্রস্তুত ছিলাম না। না হলেই ভাল হত।”

