AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nisith Pramanik: অনাথ সোনালির কন্যাদান করলেন নিশীথ প্রামাণিক, কমতি রাখেননি আয়োজনেও

Coochbehar: মা, বাবা নেই। মারা গিয়েছেন বহুদিন। দিদি টুকি রাজভর, বোন সোনালি রাজভর। কোচবিহারের বিবেকানন্দ স্ট্রিটে থাকা এই পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।

Nisith Pramanik: অনাথ সোনালির কন্যাদান করলেন নিশীথ প্রামাণিক, কমতি রাখেননি আয়োজনেও
কন্যাদান করলেন নিশীথ প্রামাণিক।
| Edited By: | Updated on: May 02, 2023 | 9:54 AM
Share

কোচবিহার: দু’ বোন। মা-বাবা কেউ নেই। মেয়েরা বিবাহযোগ্য হয়ে উঠছে। কিন্তু মাথার উপর কেউ নেই, যে বিয়ের দায়িত্ব নেবে। কোচবিহারের বিবেকানন্দ স্ট্রিটে থাকা এই পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। পিতৃ-মাতৃহীন সোনালির বিয়েতে কন্যাদানও করলেন এলাকার সাংসদ। এমন ঘটনায় পরিচিত যাঁরা আছেন, তাঁরা একেবারে হতবাক। নতুন কনের মুখেও রা’ নেই। বিয়ে কীভাবে হবে, তারই ঠিক ছিল না। অথচ মন্ত্রী পাশে এসে দাঁড়ানোয় সে বাড়িতে সোমবার সন্ধ্যায় পা ফেলা দায়। ভিড় করেছেন পড়শিরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এদিনের এই বিবাহবাসর যেন হয়ে ওঠে ‘হাইভোল্টেজ’।

মা, বাবা নেই। মারা গিয়েছেন বহুদিন। দিদি টুকি রাজভর, বোন সোনালি রাজভর। তাদের এক পালিত ভাইও রয়েছে। দিদি টুকি বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করে যা রোজগার করেন তাতে সংসার চলে টেনেটুনে। এদিকে বোনকেও বিয়ে দিতে চান। কিন্তু বাধ সাধছিল আর্থিক দৈন্যতা। এরপরই এলাকায় বিজেপির এক নেত্রীর মাধ্যমে নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেন। নিশীথ সবটা শুনে সোনালির বিয়ের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেন। এমনকী তাঁদের খুব ইচ্ছে ছিল, মন্ত্রীই সম্প্রদান করুন। তাতেও সম্মতি দেন নিশীথ।

নিশীথ প্রামাণিকের কথায়, “বিয়ের উদ্যোগের কোনও বিষয় নয়। যেদিন বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল, সেদিনই হয়। শুধুমাত্র আমার কাছে সহযোগিতা এবং আমার উপস্থিতি ওনারা চেয়েছিলেন। আমি যেহেতু সোমবার বাড়িতেই, কোচবিহারেই ছিলাম। তাই ভাবলাম আমি যদি যাই হয়ত ওনারা অনেক খুশি হবেন। আমরা যেহেতু সমাজের প্রতিনিধি, আমাদের মনে হয় মানুষের এই আনন্দ আবেগের মুহূর্তগুলোয় পাশে থাকা দরকার। তাই এসেছি। আমার পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করেছি। এই ধরনের সমস্যা যদি কারও হয়, আমি একইভাবে পাশে থাকব।” অন্যদিকে কনের দিদি টুকি রাজভর বলেন, “আমি বোনের বিয়ে দিতে পারছিলাম না। উনি শোনামাত্রই আমার বোনের বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি খুবই খুশি। ওনার কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।”