বালুরঘাট: ফের জ্বলছে বাংলাদেশ। পথে নেমেছেন সংখ্যালঘুরা। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর আরও জটিল হয়েছে পরিস্থিতি। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশের ইউনুস সরকার। এদিকে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদে সরব হয়েছে একাধিক হিন্দু সংগঠন। বাংলায় বড় মিছিল করেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। পথে নেমেছে বিজেপিও। কিন্তু, কোথায় বাকি রাজনৈতিক দল? বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া অত্যাচার দেখেও কেন চুপ? আগেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতারা। সুর চড়িয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরইমধ্যে এবার পথে নামতে দেখা গেল সিপিএমকে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বালুরঘাটে এক নম্বর এরিয়া কমিটির তরফে বাচ্চামূন্সী ভবন থেকে মশাল মিছিল বের করা হয় বামেদের পক্ষ থেকে। যা গোটা শহর পরিক্রমার পর দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি এদিনের মিছিল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষার বার্তাও দেওয়া হয়। এছাড়াও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদের স্লোগান ওঠে। এদিন বালুরঘাটে বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমের জেলা নেতৃত্ব কল্যাণ দাস, শিবতোষ চ্যাটার্জি, এরিয়া সম্পাদক অনিমেষ চক্রবর্তী, তাপস মণ্ডলের মতো নেতারা।
যদিও আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না বিজেপি নেতারা। শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, “এরা আসলে কোনও ধর্মনিরপেক্ষ পার্টি নয়। এরা সাম্প্রদায়িক পার্টি। যেমন সিদ্দিকুল্লা চিনকে দেখান, সিপিএমও সেই মতো বাইরের লোককে দেখায়। ভিয়েতনাম ভিয়েতনাম আমার নাম তোমার নাম! প্যালেস্তাইনে বোম পড়লে মিছিল হয়। বিমান বসুকেও হাঁটতে দেখা যায়। এখন মুখে কুলুপ।”