Rotten Body Recovered: মাংস গলে বুকের পাঁজর বেরিয়ে গিয়েছে! গঙ্গারামপুরে উদ্ধার পচা-গলা দেহ

Gangarampur news: ঠিক কী কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।

Rotten Body Recovered: মাংস গলে বুকের পাঁজর বেরিয়ে গিয়েছে! গঙ্গারামপুরে উদ্ধার পচা-গলা দেহ
মাঠ থেকে উদ্ধার পচা গলা দেহ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 19, 2022 | 11:00 PM

গঙ্গারামপুর : হোলির বিকেল ফাঁকা মাঠ থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ (Body Recovered)। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার পুরাতন নয়াবাজার গোপালপুর এলাকায়। দেহ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। ঘটনার পর গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।

মৃত ওই ব্যক্তির নাম নৃপেন হাজরা (৪৫)। বাড়ি নয়াবাজার গোপালপুর এলাকায়। পেশায় ছিলেন বাদ্যকার। পরিবার সূত্রে খবর, কালীপুজোর পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই ব্যক্তি। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনও খোঁজ পাননি ব্যক্তির। এরই মাঝে শনিবার বিকেলে মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে একটি পচাগলা দেহের অংশ দেখতে পায় এলাকার মানুষজন। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় গঙ্গারামপুর থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এদিকে মৃতদেহের পাশে পরে থাকা কাপড় দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

দিলীপ কবিরাজ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “বিকেল তিনটে নাগাদ পঞ্চায়েত থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয়, একটা কঙ্কাল দেখা গিয়েছে। দেহটি তোলা হয়েছে। দেখে মানুষের দেহ বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু কার দেহ বোঝা যাচ্ছে না।” অন্য এক স্থানীয় বাসিন্দা অধীর বর্মণ জানিয়েছেন, “বিকেল তিনটের দিকের ঘটনা। মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন এক মহিলা। তিনিই দেখতে পান দেহটি। দেহ পচে গলে গিয়েছে। পাঁজরের হাড় বেরিয়ে গিয়েছে। দেখে কিছু চেনা যাচ্ছে না।”

মৃতের স্ত্রী সুমিত্রা হাজরা জানিয়েছেন, “কালী পুজোর পরের দিন থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল। আমি দূরের এক মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলাম। শুনলাম এখানে একজনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। দেখতে আসলাম। এসে দেখি আমার স্বামী। কীভাবে মারা গেলেন, তা আমরা বুঝতে পারছি না। মানুষে মেরেছে, নাকি অন্য কিছু ঘটনা বুঝতে পারছি না।”

আরও পড়ুন : Asansol Bi-Election : অগ্নিমিত্রাকে জেতাতে পোড় খাওয়া জিতেন্দ্রর মগজাস্ত্রেই ভরসা পদ্ম নেতাদের