বালুরঘাট: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্বে। আর প্রথম বারেই জোড়া দায়িত্ব। মোদীর মন্ত্রিসভায় শিক্ষা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন দুই মন্ত্রকেরই প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে সুকান্তকে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এই প্রথম বালুরঘাট লোকসভা থেকে কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন। সুকান্ত উপর জোড়া দায়িত্ব আসার খবর আসতেই বিজেপির দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাস। বালুরঘাটে বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে আতসবাজি ফাটিয়ে আনন্দ উৎসবে মাতলেন দলীয় কর্মীরা। নতুন দায়িত্বে এসে খুশি সুকান্ত মজুমদার। দায়িত্ব পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেই বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছেন। মা, স্ত্রী সকলেই খুব খুশি। তবে সুকান্তবাবুর মা নিবেদিতা মজুমদার জানাচ্ছেন, ছেলে পূর্ণমন্ত্রী হলে আরও বেশি খুশি হতেন তিনি।
জোড়া দায়িত্ব পেয়ে আপ্লুত সুকান্ত মজুমদারও। মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব বণ্টনের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। দিল্লি থেকে এক ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমার মতো একজন সাধারণ কর্মীকে যেভাবে এত বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। আমার নিজের যত সামর্থ্য রয়েছে, সবটুকু দিয়ে মোদীজির লক্ষ্যকে সামনে এদিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা তো শেষ। সেটাকে কেন্দ্রের তরফে যতটা করা যায়, সেই চেষ্টা করব।’
সুকান্ত মজুমদারের মা নিবেদিতা মজুমদার জানাচ্ছেন, ‘খুবই আনন্দ হচ্ছে। ছেলেটা বাড়িতে থাকলে আরও ভাল লাগত। শুনলাম প্রতিমন্ত্রী হচ্ছে। ও যদি পূর্ণমন্ত্রী হত, আরও বেশি খুশি হতাম। ছোটবেলা থেকেও যে কাজটা করে, খুব মন দিয়ে কাজ করে। রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর একটা দিনও বিশ্রাম পায়নি।’
নতুন ভূমিকায় স্বামীর সাফল্য নিয়ে আশাবাদী সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী কোয়েল মজুমদারও। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে রাজ্যে শিক্ষার খুবই করুণ অবস্থা। ওঁ সবরকমভাবে চেষ্টা করবে এর উন্নতি করার, যদিও রাজ্য সরকারের উপর দিয়ে তো যেতে পারবে না। তাও চেষ্টা করবে আশা করছি।’