Recruitment Scam : চাকরি গিয়েছে ভাইয়ের, শান্তনুর সঙ্গে জন্মদিনের কেক কাটার ছবি সামনে আসতেই প্রশ্নের মুখে তৃণমূল নেতা
Recruitment Scam : এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি অম্বরীশ সরকারের সঙ্গে এনিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান তিনি জেলায় নেই।
দক্ষিণ দিনাজপর : নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shantanu Banerjee) সঙ্গে জন্মদিনের কেক কাটছেন দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলা যুব তৃণমূল (Trinamool Congress) সভাপতি৷ এমন ভিডিও সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ অন্যদিকে জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি অম্বরীশ সরকারের কাকাতো ভাইয়ের গ্রুপ সি চাকরি বাতিল হয়েছে। সেই তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে। ঠিক এই জায়গা থেকে উঠছে প্রশ্ন, জেলায় জেলায় যুব নেতাদের হাত ধরেই কি বরাত আসত শান্তনুর কাছে৷ তবে কী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সহ অন্যা জেলাতেও রয়েছে শান্তনুরা? প্রশ্ন থাকছেই।
জানা গিয়েছে, সমরেশ সরকার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল জেলা সভাপতি অম্বরীশ সরকারের কাকাতো ভাই। বাড়ি জেলার কুশমণ্ডিতে। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে তার চাকরি বাতিল হয়েছে। তালিকার ৫৪৩ নম্বরে নাম রয়েছে যুব তৃণমূল নেতার ভাই সমরেশ সরকারের। সমরেশ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের বেলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিপাড়া উপজাতি হাই স্কুলের করণিক বা ক্লার্ক পদে চাকরি করতেন।
ভাইয়ের চাকরি বাতিল হওয়ার পরই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেক কাটার ভিডিও ভাইরাল যুবনেতা অম্বরীশ সরকারের৷ এমনকি নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত শান্তনু বন্দোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিও দেখা গিয়েছে। এমনকি অম্বরীশ সরকারের জন্মদিনে শান্তনু বন্দোপাধ্যায়কে নিজ হাতে কেক কেটে খাওয়াতেও দেখা যায়। সেই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অম্বরীশ সরকারের কাকাতো ভাইয়ের নাম চাকরি বাতিলের তালিকায় থাকায়, তার নিয়োগ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার স্ত্রী প্রিয়াংকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি অম্বরীশ সরকারের নিবিড় যোগাযোগ ছিল৷ তা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে। ফলে তার কাকাতো ভাইয়ের চাকরির ক্ষেত্রেও প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে। যার তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্ত করলেই সবটা বের হবে।
এ বিষয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার জানান, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি গ্রেপ্তার করেছে। আদালতের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে দল তাঁকে বহিষ্কার করেছে। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে জেলা যুবনেতা অম্বরীশ সরকারের কতটা যোগাযোগ রয়েছে তা আইনি ব্যাপার। সে বিষয়ে মন্তব্য করব না। তবে সে সময় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে ছিলেন। অম্বরীশ সরকারও তৃণমূল যুব নেতা। ফলে দলের একজনের সঙ্গে অপরের যোগাযোগ থাকতেই পারে। আর সোশ্যাল মিডিয়াতে যে ছবি রয়েছে সে বিষয়ে বলতে পারি বার্থডে বা বিয়ে বাড়ি বা অন্যান্য নিমন্ত্রণের ক্ষেত্রে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যেতেই পারে। সেখানে ছবি তোলা অন্যায় কিছু নয়। তবে আদালত বা আইনি বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।
যদিও এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি অম্বরীশ সরকারের সঙ্গে এনিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান তিনি জেলায় নেই। বলেন, “বাইরে আছি৷ এনিয়ে কোন মন্তব্য করব না।”