AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Voter List: ‘বিজেপি করি বলে ভোটার তালিকায় মৃত দেখিয়ে দিল’, সাংঘাতিক অভিযোগ বালুরঘাটে

Balurghat: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের নাজিরপুর গ্রামপঞ্চায়েত। সেখানকার জন্তি গ্রামের ঘটনা। গ্রামের বাসিন্দা শম্ভুচন্দ্র দাস ও মলিনা সরকার। ১৭ নম্বর নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৮ নম্বর বুথের ভোটার তাঁরা। অভিযোগ, পুরনো ভোটার তালিকায় তাঁদের নামও ছিল। পুরনো ভোটার কার্ড আছে কুলুঙ্গিতে তোলা। অথচ নতুন কার্ড চাইতে গিয়ে জানতে পারলেন, তাঁরা নাকি বেঁচেই নেই।

Voter List: 'বিজেপি করি বলে ভোটার তালিকায় মৃত দেখিয়ে দিল', সাংঘাতিক অভিযোগ বালুরঘাটে
ভোটার তালিকা থেকে বাদ এই দু'জনের নাম।Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2023 | 12:50 PM
Share

বালুরঘাট: অবাক কাণ্ড বালুরঘাটে। জলজ্যান্ত ঘুরে বেড়ান মানুষগুলো, অথচ ভোটার তালিকা থেকে বাদ হয়ে গিয়েছে নাম। কারণ, তাঁরা নাকি ‘মৃত’! বিজেপির দাবি, বিরোধীদের সমর্থন করে বলে নোংরা রাজনীতির শিকার তাঁরা। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, বিজেপির তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের নাজিরপুর গ্রামপঞ্চায়েত। সেখানকার জন্তি গ্রামের ঘটনা। গ্রামের বাসিন্দা শম্ভুচন্দ্র দাস ও মলিনা সরকার। ১৭ নম্বর নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৮ নম্বর বুথের ভোটার তাঁরা। অভিযোগ, পুরনো ভোটার তালিকায় তাঁদের নামও ছিল। পুরনো ভোটার কার্ড আছে কুলুঙ্গিতে তোলা। অথচ নতুন কার্ড চাইতে গিয়ে জানতে পারলেন, তাঁরা নাকি বেঁচেই নেই।

শম্ভু দাস, মলিনা সরকারদের অভিযোগ, মৃত হিসাবে দাগিয়ে দিয়ে ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে নাম। তাঁদের দাবি, এ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন। বালুরঘাট বিডিও অফিসের পাশাপাশি নাজিরপুর পঞ্চায়েত সমিতিতেও জানিয়েছেন। তবে কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ। মলিনা সরকার বলেন, “বিজেপি করি বলেই নামটা কেটে দিয়েছে। বিডিও অফিস, পঞ্চায়েত অফিস, পঞ্চায়েত সমিতিতে গিয়েছি। বলছে দেখে নিন। আমরা কী করে দেখব এটা?” বিজেপির মণ্ডল সভাপতি প্রবীর মণ্ডল বলেন, “লোকসভা ভোট আসছে তো। বিজেপি করে যারা তাদের সঙ্গে বেশিরভাগ গ্রামেই এসব করছে। ভোটার তালিকায় বড়সড় কারচুপি চলছে। মৃতদের নাম রেখে দিচ্ছে ভোটার তালিকায়। আর জীবন্তদের মেরে দিচ্ছে।”

শম্ভু দাস পেশায় কৃষক। বয়স হয়েছে। এমনিই জীবনে হাজার ঝক্কি। তার উপর আবার এই নতুন বিপদ। ভোটার লিস্টে নাম না থাকলে আবার নতুন কোনও বিপদে না পড়তে হয়, তা নিয়েও চিন্তার ভাঁজ কপালে। গত বছর স্ত্রীকে হারিয়েছেন তিনি। শম্ভু দাস জানান, মৃত স্ত্রীর নাম রয়েছে ভোটার তালিকায়। অথচ যিনি বেঁচে তিনি থেকেও ‘নেই’।

এ বিষয়ে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, “ভোটের কাজ বুথ স্তরে বসে আধিকারিকরা করেন। সমস্ত তথ্য দেখে কাজ করেন। এখানে আমাদের দলের কোনও হাতই থাকে না। হাজার হাজার মানুষের মধ্যে বেছে ২ জনের নাম বাদ দিয়ে তৃণমূল করবে কী? নির্বাচন কমিশন খতিয়ে দেখবে সবটা। তৃণমূল তো ভোটার লিস্ট করে না।” আর বিডিও সম্বল ঝাঁ-এর বক্তব্য, “আমার কাছে এরকম কোনও অভিযোগ আসেনি। এলে তা খতিয়ে দেখা হবে।”