WB Jobs: রাজ্য পুলিশের পরীক্ষা দিতে এসে ভাঙল হাঁটু, জখম যুবক!
West Bengal Police: পুলিশ সূত্রে খবর, জেলায় মোট ৭৭ টি পরীক্ষাকেন্দ্রে ৩০ হাজার জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। শুধুমাত্র জেলা নয় জেলার বাইরে থেকেও বহু পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসেছেন বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে। প্রত্যেক কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে
দক্ষিণ দিনাজপুর: রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police) কনস্টেবল পদে পরীক্ষা দিতে এসে গাড়ির ধাক্কায় পা ভাঙল এক পরীক্ষার্থীর। রবিবারই রাজ্যে শুরু হয়েছো পরীক্ষা। সব পরীক্ষাকেন্দ্রেই উপচে পড়েছে ভিড়। সেই মতোই বুনিয়াদপুর কলেজে মালদা থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন বিবেক সরকার। কিন্তু, পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের আগেই বিপত্তি! অভিযোগ, কলেজের সামনেই বুনিয়াদপুর রাজ্য সড়কে গাড়ির ধাক্কায় জখম হন বিবেক। তাঁর পায়ে গুরুতর চোট লেগেছে।
আক্রান্ত বিবেক সরকার বলেন, “আমি রাস্তার বাঁদিকে দাঁড়িয়েছিলাম। সেখানে পেছন থেকে আচমকা একটি চারচাকা এসে আমায় ধাক্কা দেয়। উল্টে পড়ে যাই। তখনও অতটা বুঝিনি। পরে পায়ের যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করি। আমায় পায়ের পরীক্ষা করছেন ডাক্তারবাবুরা।” কিন্তু পায়ে চোট নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া কি সম্ভব হবে? একটুও না দমে বিবেক বলেন, “যেমন করেই হোক আমি পরীক্ষা দেব। এত কষ্ট করে এসছি। আমি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক।”
পুলিশ সূত্রে খবর, জেলায় মোট ৭৭ টি পরীক্ষাকেন্দ্রে ৩০ হাজার জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। শুধুমাত্র জেলা নয় জেলার বাইরে থেকেও বহু পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসেছেন বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে। প্রত্যেক কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বুনিয়াদপুর কলেজেও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক। ফলে, কলেজ চত্বরে বেশ ভিড় ছিলই। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশকালীন এক অধ্যাপকের গাড়ির সঙ্গে ওই পরীক্ষার্থীর ধাক্কা লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় রসিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিত্সকেরা পরীক্ষা করে জানান, ওই যুবকের বাঁ-পা ভেঙে গিয়েছে। তবে পরীক্ষার্থী যেহেতু পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক, তাই কলেজেই বিশেষভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ঘটনায়, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোতোষ মণ্ডল বলেন, “বিবেক সরকার নামে ওই পরীক্ষার্থীর পা ভেঙে গিয়েছে। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন ছেলেটির বাঁ-পায়ে হাঁটু থেকে গোড়ালি ভেঙে গিয়েছে। কলেজেরই এক অধ্যাপকের গাড়ির ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা। আপাতত ওই যুবক পরীক্ষা দিতে রাজি হয়েছেন। তাই বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি ইতিমধ্যেই গঙ্গারামপুর হাসপাতালে কথা বলেছি। ডিআইজিকেও জানিয়েছি। একঘণ্টার পরীক্ষা। শেষ হলেই ছেলেটিকে হাসপাতালে পাঠানো হবে।”
শুধু দিনাজপুরেই নয়, জায়গায় জায়গায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে এসেছে। কোনও পরীক্ষাকেন্দ্রে উপচে পড়েছে ভিড়। কোথাও বা কোভিড বিধি শিকেয় তুলে চলছে জমায়েত। শিলিগুড়িতে, পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতেই পারলেন না অর্ধেকে। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন পরীক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, বারুইপুর ও সোনারপুরে পরীক্ষা কেন্দ্রে দেখা গেল উপচে পড়া ভিড়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের মোট ৮৭০০ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৭,৪৪০ জন কনস্টেবল এবং ১,১৯২ জন লেডি কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি অনুযায়ী, আবেদনকারীর বয়স কুড়ির নীচে ও সাতাশোর্ধ্ব হতে পারবে না। তফশিলি জাতি এবং উপজাতি প্রার্থীদের বয়সের সর্বোচ্চ সীমায় পাঁচ বছর ছাড় দেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের ওবিসি প্রার্থীরা তিন বছর ছাড় পেয়েছিলেন। সেই নিয়মেই পরীক্ষার কথা ঘোষণা করা হয়। পরীক্ষার্থীদের জন্য নিয়োগবোর্ডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই পরীক্ষার্থীরা অ্যাডমিট কার্ড পান।
আরও পড়ুন: Dinhata: ‘গৌরী লঙ্কেশের মতো অবস্থা হবে’, TV9-এর চিত্র সাংবাদিককে হুমকি উদয়ন-ভাইপোর!
আরও পড়ুন: BJP MLA: ‘বাবুল দলে অসম্মানিত হয়েছেন’, ফের ‘বেসুরো’ রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক!