Ration Scam: শিলিগুড়ির টাউনশিপ প্রকল্পে রেশন দুর্নীতির কালো টাকা? নেপথ্যে বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয়?
Ration Scam: সূত্রের খবর, দেবনগর প্রজেক্টের সাইন বোর্ডে একটি সংস্থার নাম থাকলেও সেখানে কোনও ঠিকানা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর কিছুই লেখা নেই। এমনকী যে মোবাইল নম্বর দেওয়া রয়েছে, সেখানে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির টাউনশিপ প্রকল্পে খেটেছে রেশন দুর্নীতির টাকা। এমন অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে শোরগোল। নেপথ্য়ে কি হাত রয়েছে বাকিবুর, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের? উঠছে প্রশ্ন। শিলিগুড়ি শিবমন্দিরের কাছে চলছে দেবনগর টাউনশিপের কাজ। স্থানীয়দের দাবি, বাকিবুরের আত্মীয় এই জমি কেনেন। মহম্মদ ফারুখ ওরফে রাহুল দেব বিঘার পর বিঘা জমি কেনেন। কেনার সময় হাজির ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়র এক আত্মীয়। এমনটা দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সূত্রের খবর, দেবনগর প্রজেক্টের সাইন বোর্ডে একটি সংস্থার নাম থাকলেও সেখানে কোনও ঠিকানা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর কিছুই লেখা নেই। এমনকী যে মোবাইল নম্বর দেওয়া রয়েছে সেখানে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। স্থানীয়দের দাবি, প্রকল্পের সঙ্গে অনেক শাসক নেতাই জড়িয়ে রয়েছেন।
এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, “অনেক নেতার নাম শুনেছি। শুনি যাঁরা গ্রেফতার হয়েছে তাঁদেরই জমি।” প্রজেক্টের কর্মীরা অবশ্য বলছেন, এই সাইটের সঙ্গে রেশন দুর্নীতির কোনও যোগ নেই। দেবনগর প্রজেক্টের সাইট ম্য়ানেজার বলছেন, “কেন রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই সেটা আমি বলতে পারব না।” এমনকী কার সঙ্গে প্রজেক্টের বিষয়ে কথা বলা যাবে এ বিষয়েও তিনি কিছু বলতে পারলেন। শুধু বললেন, পারমিশন ছাড়া তো আমি নম্বর দিতে পারব না। কালকে আসুন কালকে পাবেন। সবাই আজ ছুটিতে আছেন। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, যে জায়গায় এই প্রজেক্ট হচ্ছে তার একটা বড় অংশই কৃষি জমি। এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে এই জমি কিনে নেওয়ার পর রাতারাতি চরিত্র বদল করা হয়। তারপরই টাউনশিপের ব্যানার লাগিয়ে জমি বিক্রির কাজ শুরু হয়। এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই জমিগুলি কেনার সময় জনৈক ফারুখের সঙ্গে এসেছিলেন তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এক আত্মীয়। তাই এই জমি কেনাবেচায় কালো টাকার ব্যবহার হয়েছে কি না সেই প্রশ্নও জাগছে এলাকার বাসিন্দাদের মনে।