‘ত্রিপুরার বিজেপি আর বঙ্গের তৃণমূল পরস্পরের সমার্থক’, আলিমুদ্দিন ‘বিরোধী সুর’ অশোকের?
Ashok Bhattacharya: ত্রিপুরায় দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে 'হামলার' শিকার হন তৃণমূলের তিন যুব নেতৃত্ব, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত ও দেবাংশু ভট্টাচার্য। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সব বিরোধ ভুলেই তৃণমূলের পাশে দাঁড়ায় বাম শিবির। 'জঙ্গলের রজত্ব চলছে' বলে অভিযোগ আলিমুদ্দিনের।
শিলিগুড়ি: বঙ্গ নির্বাচনে ‘শূন্য় ঝুলি’ নিয়ে ঘরে ফেরার পরেও আশা হারাতে নারাজ বাম শিবির। ইতিমধ্য়েই ভুলত্রুটির সরেজমিনে নেমেছে বামনেতৃত্ব। অন্যদিকে, আসন্ন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে ইতিমধ্য়েই ত্রিপুরায় আসর জমাতে তত্পর তৃণমূল। জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমেই ‘কাছাকাছি’ আসছে অ-বিজেপি শক্তিগুলি। এরইমধ্যে ত্রিপুরায় যুবনেতৃত্বের উপর হামলার প্রতিবাদ করেছে আলিমুদ্দিন। সেখানে, শিলিগুড়ির প্রাক্তন বাম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যের (Ashok Bhattacharya) কণ্ঠে যেন শোনা গেল বিরুদ্ধ সুর। কেন্দ্র-রাজ্যকে নিশানা করতে গিয়ে বিমান-সুজনদের কিঞ্চিত্ বিপ্রতীপ সুরে সুর ঘনালেন প্রবীণ বাম-নেতা।
আগামী ১৭ অগস্ট শিলিগুড়ি পৌরনিগম অভিযানের প্রস্তুতি কল্পে, ত্রিপুরা-কাণ্ড প্রসঙ্গে অশোক (Ashok Bhattacharya) স্পষ্টতই বলেন, “ত্রিপুরায় বিজেপি আর বঙ্গে তৃণমূল পরস্পরের সমার্থক। তৃণমূল এ রাজ্যে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে যা যা করেছে, ত্রিপুরায় বিজেপি তৃণমূলের সঙ্গে তাই তাই করেছে। ও নিয়ে নতুন করে বলার কী রয়েছে! তৃণমূলের থেকে শিখে তারই পাল্টা চালাচ্ছে বিজেপি। আমি যখন প্রাক্তন মন্ত্রী, তখন তৃণমূলের পুলিশ এসে আমাকেও তুলে নিয়ে গিয়েছিল। বুদ্ধদেববাবুও রাজ্য চালিয়েছেন। কটা কমিশন বসেছে? কটা হত্য়া হয়েছে? কত সন্ত্রাসের রিপোর্ট রয়েছে? এটা তো হওয়ারই ছিল।”
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে ‘হামলার’ শিকার হন তৃণমূলের তিন যুব নেতৃত্ব, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত ও দেবাংশু ভট্টাচার্য। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সব বিরোধ ভুলেই তৃণমূলের পাশে দাঁড়ায় বাম শিবির। ‘জঙ্গলের রজত্ব চলছে’ বলে অভিযোগ আলিমুদ্দিনের। বিবৃতি জারি করে ঘটনার নিন্দায় সরব হয় ত্রিপুরায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাকমণ্ডলী। তৃণমূলের পাশে দাঁড়ান বঙ্গ সিপিএম নেতৃত্বরাও। কটাক্ষ হানলেও ‘ঠারে ঠোরে’ শাসক-শিবিরের পক্ষ নেন সুজনরা।
আসন্ন ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য জোটের প্রসঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে যেকোনও যৌথ আন্দোলনেই শরিক হবে বাম শিবির। যদিও, জাতীয়স্তরে এখনও বামফ্রন্টের তরফে এধরনের কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সেখানে, কেন্দ্র-রাজ্য সরকারকে এক রেখায় এনে নূন্যতম সহানুভূতি পোষণ না করে অশোকে এ হেন নিশানা বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আরও পড়ুন: মোদী বিরোধী খিচুড়ি সরকার অনেকটা স্বপ্নের পোলাওয়ের মতো: জয়প্রকাশ