AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

এক বছরের শিশু গিলে ফেলল সেফটি পিন, যন্ত্রণায় যতই ছটফট করছে ততই তা নামছে নিচের দিকে…

Siliguri: জানা গিয়েছে, যখন ওই শিশু সেফটি পিনটি গিলে ফেলে তখন সেটি খোলা অবস্থায় ছিল। ফলে বড় বিপদের আশঙ্কা থেকেই গিয়েছিল।

এক বছরের শিশু গিলে ফেলল সেফটি পিন, যন্ত্রণায় যতই ছটফট করছে ততই তা নামছে নিচের দিকে...
নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2021 | 11:21 AM
Share

শিলিগুড়ি: খেলতে গিয়ে এক বছরের শিশুর গলায় আটকে গিয়েছিল সেফটি পিন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের লাগাতার চেষ্টায় এল সাফল্য। প্রাণ বাঁচল একরত্তির। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়িতে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সফল অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ রয়েছে শিশুটি।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের বিশেষজ্ঞ শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গত ৬ অগস্ট এক বছরের ওই শিশুর গলায় সেফটি পিন আটকে যায়। প্রথমে তাকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল পরিবারের লোকজন। কিন্তু এতটাই অল্প বয়স ওই শিশুর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঝুঁকি নিতে পারেনি। তাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেয়।

চিকিৎসক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা দেখি খাদ্যনালীর ভিতরে ওই সেফটি পিনটি আটকে রয়েছে। এরপরই চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল তৈরি করে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিকু) রেখে শুরু হয় চিকিৎসা। অস্ত্রোপচার করে সেফটি পিনটি বেরও করেন চিকিৎসকরা। এখন ভালো আছে শিশুটি।”

জানা গিয়েছে, যখন ওই শিশু সেফটি পিনটি গিলে ফেলে তখন সেটি খোলা অবস্থায় ছিল। ফলে বড় বিপদের আশঙ্কা থেকেই গিয়েছিল। খাদ্যনালীর যে জায়গায় ওই খোলা সেফটি পিনটি ছিল, সেখান থেকে ফুসফুসের দূরত্ব খুব বেশি নয়। ফলে সে চিন্তাও ছিল চিকিৎসকদের। এদিকে যন্ত্রণায় সমানে ছটফট করে চলেছে শিশুটি।

চিকিৎসকরা বুঝেছিলেন, যা করতে হবে তা দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। এদিকে এই অস্ত্রোপচারের জন্য যে উন্নত পরিকাঠামো সেই মুহূর্তে দরকার ছিল, শিলিগুড়িতে তা পাওয়া মুশকিল। তবে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের ঐকান্তিক চেষ্টা সেই মুশকিল আসান করে। জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেডিক্যাল কলেজের বাইরে থেকেও চিকিৎসকরা এই অস্ত্রোপচারের জন্য যা প্রয়োজন তা সংগ্রহ করেন। সকলে মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিশুকে নতুন জীবন দেন। আপাতত মায়ের কোলে দিব্যি আছে শিশুটি। মায়ের মুখেও এখন হাসির ঝলক। আরও পড়ুন: চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, ওৎ পেতে ছিল পুলিশ! হাতেনাতে পাকড়াও ৫