TMC: ‘গুন্ডারাই এখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত’, দলের সঙ্গে বাহুবলী-মস্তানদের নাম জড়াতে আক্ষেপের সুর TMC নেতাদের গলায়
TMC: দিন কয়েক আগেই রামকৃষ্ণ মিশনকাণ্ডে অভিযুক্ত ও গ্রেফতার হওয়া একজনের সঙ্গে এক প্রভাবশালী কাউন্সিলরের একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। শহরের আরও এক বাহুবলী কাউন্সিলরের সঙ্গেও রামকৃষ্ণ মিশনকাণ্ডে অভিযুক্তের ছবিও ভাইরাল হয়।
শিলিগুড়ি: ভৌগলিক কারণেই শিলিগুড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ। দাম বাড়ছে জমি, ফ্ল্যাটের। অভিযোগ, দ্রুত কামিয়ে নিতে মিলিজুলি কারবারে সামিল হচ্ছেন শাসক নেতাদের একাংশ। আর সেই কারণেই কখনও, শাসক-প্রোমোটার যোগ সামনে আসছে, কখনও আবার শাসক-জমি মাফিয়া যোগ সামনে আসছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। সমাজ বিরোধী ও মস্তানদের সঙ্গে নানা বাহুবলী শাসক নেতার ছবি ভাইরাল হচ্ছে মাঝেমধ্যেই।
দিন কয়েক আগেই রামকৃষ্ণ মিশনকাণ্ডে অভিযুক্ত ও গ্রেফতার হওয়া একজনের সঙ্গে এক প্রভাবশালী কাউন্সিলরের একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। শহরের আরও এক বাহুবলী কাউন্সিলরের সঙ্গেও রামকৃষ্ণ মিশনকাণ্ডে অভিযুক্তের ছবিও ভাইরাল হয়। অভিযোগ, প্রভাবশালী এক কাউন্সিলর নাকি নিজেই শেঠ শ্রীলাল মার্কেটে বেআইনি নির্মাণে মদত দিয়েছেন। বসতবাড়িকে বাণিজ্যিক ভবনে রূপান্তরের চেষ্টাও হয়। যদিও মেয়রের নির্দেশে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হয়। দলীয় সূত্রে খবর, খোদ অভিষেকের দরবারে এ নিয়ে নালিশ ঠুকেছন অন্য নেতারা।
অন্যদিকে সেবক রোড এলাকায় বিত্তশালীদের জন্য যেসব বহুতল গড়ে উঠছে সেখানে নানা অনিয়ম সামাল দিয়ে মুনাফা কামানোয় অভিযুক্ত আরও এক প্রভাবশালী কাউন্সিলর। জেলা তৃণমূলের সম্পাদক পেশায় আইনজীবী অত্রি শর্মার আক্ষেপ, “বাম আমলে সিপিএম নেতারা গুন্ডা পুষতেন। কিন্তু এখন রাজনীতি পাল্টে গিয়েছে। সেই গুন্ডারাই এখন রাজনীতিতে নতুন আশ্রয়ে। শাসকদলে তারাই নেতার আশ্রয়ে ঘুরছেন। অর্থবল থাকায় সমাজেও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতিও পাচ্ছেন। নেতার পাশেই সবসময় থাকছেন। মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বারবার বললেও কথা কানে যাচ্ছে না নেতাদের একাংশের। মুনাফা কামাচ্ছেন এরা।”
অত্রির আরও আক্ষেপ, “গায়ে কম্বল দিয়ে ঘি খাওয়ার চেষ্টা মানুষ বুঝছে। অনৈতিক সম্পত্তি উপার্জন, ঠাটবাঁট কি সৎ উপায়ে? তালে আপত্তি নেই। কিন্তু আপনি কাউকে পুষে রেখে দেন, ওরা বাইরে গিয়ে ক্ষমতাধর ভাবছেন। শিলিগুড়িতেও চলছে। ফাঁকা জমি কমছে, তাই প্রোমোটার জমি খুঁজছেন। জমির দখল হচ্ছে।”