
ডায়মন্ড হারবার: অভিষেকের গড়ে সুকান্তর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে দেখেই উঠল গো ব্যাক স্লোগান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু সময়ের জন্য সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা। যদিও এর নেপথ্যে তৃণমূলেরই হাত দেখছেন সুকান্ত। শাসকদলের উস্কানির প্রসঙ্গ টেনে ক্ষোভের সুরেই তিনি বলছেন, “পুলিশের ক্ষমতা নেই এদের সঙ্গে লড়ার। সময় আসুক। বিজেপি গণতান্ত্রিকভাবে লড়বে। এদের কী করে টাইট দিতে হয় আমাদের জানা আছে। সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। আমরা জম্মু-কাশ্মীরকে ঠান্ডা করেছি তো ডায়মন্ড হারবার সেখানে কী!”
ডায়মন্ড হারবারের সরিষায় যে আসছেন সুকান্ত সে খবর ছিল পুলিশের কাছে। নিরাপত্তার জন্য পুরোমাত্রায় প্রস্তুতও ছিল। সূত্রের খবর, এদিন সুকান্ত মজুদারের কনভয় যখন সরিষার মধ্যে ঢোকে তখনই আচমকা একটা জমায়েত চলে আসে। উঠতে তাকে গো-ব্যাক স্লোগান। যদিও আন্দোলকারীদের দাবি ছিল তাঁরা বিজেপির কর্মী-সমর্থক। যদিও বিজেপি নেতাদের দাবি, কোনওভাবেই তাঁরা তাঁদের দলের লোক নয়। পুরোটাই তৃণমূলের উস্কানিতে হয়েছে।
অন্যদিকে তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার আবার বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে খোঁচা দিচ্ছেন। খোঁচা দিচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে। খানিক কটাক্ষের সুরেই তিনি বলছেন, “ওদের এখনও পর্যন্ত রাজ্য কমিটি তৈরি হয়নি। সুকান্ত মজুমদার সক্রিয়ভাবে রাজ্য কমিটি তৈরিতে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী নিজের মতো চলছেন। আসলে অনেকগুলি গোষ্ঠী রয়েছে। সে কারণেই পুরনো বিজেপির লোকজনই সুকান্ত মজুমদারকে গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছেন। আসলে ওদের দলের অবস্থা খুবই খারাপ। ওদের এবার দলটাকে ঠিক করার জন্য এগোতে হবে ওদের। মানুষ তো ওদের সঙ্গে নেই, এখন দলের কর্মীরাও গো ব্য়াক স্লোগান দিচ্ছে। এর থেকে আর খারাপ কী হতে পারে।”