Hooghly: রাস্তায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিল, পুলিশ তাড়া করতেই সামনে এল সবটা
Hooghly criminals arrested: তল্লাশি চালিয়ে ধৃত পাঁচজনের কাছ থেকে দুটি দেশি পিস্তল, ছয় রাউন্ড কার্তুজ, দুটি ভোজালি, একটি ছুরি,শার্টার ও তালা ভাঙার যন্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ২ জনের বাড়ি হুগলিতে। একজনের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এবং বাকি ২ জনের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়।

চণ্ডীতলা: উদ্দেশ্য ছিল সোনার দোকানে ডাকাতি। তার আগেই দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ছয় রাউন্ড কার্তুজ-সহ পাঁচ দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করল চণ্ডীতলা থানার পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষানু রায় জানান, ধনতেরাস-দীপাবলির জন্য চণ্ডীতলা থানার বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিং চালাচ্ছিল পুলিশ। রবিবার দুপুরে মশাট অঞ্চলে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে ঘুরতে দেখে পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করে। একটি চারচাকা নিয়ে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও পাঁচজনকে ধরে ফেলে পুলিশ।
তল্লাশি চালিয়ে ধৃত পাঁচজনের কাছ থেকে দুটি দেশি পিস্তল, ছয় রাউন্ড কার্তুজ, দুটি ভোজালি, একটি ছুরি,শার্টার ও তালা ভাঙার যন্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, মশাট এলাকায় সোনার দোকানে ডাকাতির উদ্দেশ্য ছিল তাদের। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুরজ মণ্ডল, কুতুবর মণ্ডল, রাজা উদ্দিন, অলোক সমাদ্দার এবং আশিস সাহা। ধৃতদের মধ্যে ২ জনের বাড়ি হুগলিতে। একজনের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এবং বাকি ২ জনের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়।
চণ্ডীতলা থানা এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। ধৃতদের আগামিকাল (সোমবার) শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতদের সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে এবং যারা পালিয়ে গিয়েছে তারা কারা, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষানু রায় বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি মশাট অঞ্চলে সোনার দোকানে ডাকাতি করাই ছিল দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য। তারা হাওড়ার দিক থেকে এসেছিল। ধৃতদের সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছি আমরা।”
