মুচলেকা পড়ে তৃণমূলে যোগদান বিজেপি কর্মীর, তবেই মিলল দোকান খোলার অনুমতি!

ভরা বাজারে মাইকে করে মুচলেখা পড়ে তারপর দোকান খোলার অনুমতি পেলেন এক বিজেপি (BJP) কর্মী! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিয়ো।

মুচলেকা পড়ে তৃণমূলে যোগদান বিজেপি কর্মীর, তবেই মিলল দোকান খোলার অনুমতি!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 12, 2021 | 5:58 PM

হুগলি: ভরা বাজারে মাইকে করে মুচলেখা পড়ে তারপর দোকান খোলার অনুমতি পেলেন এক বিজেপি কর্মী (BJP Worker)! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিয়ো।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ধনিয়াখালীর বেলমুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফিডা রোড এলাকায়। স্থানীয় বিজেপি কর্মী বাপ্পা করকে তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ভরা বাজারের মাইকে মুচলেকা পড়ানো হয়। তাঁকে তৃণমূলে যোগদান করার আবেদন করতে শোনা যায়। মাইকে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “গত ৩ মে থেকে আমার মোবাইল দোকানটি বন্ধ আছে। দোকান খুলে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি এবং আগামী দিনে তৃণমূলের হয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে চাই।”

তার পর, নাটকীয়ভাবে তৃণমূলের তরফ থেকে সেই পথসভা থেকেই জানানো হয়, বিগত দিনে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের প্রতি যে অত্যাচার করেছে তার জন্য ক্ষমা না চাইলে দলে নেওয়া সম্ভব নয়।পরে আবারও মাইক নিয়ে সকলের উদ্দেশে ক্ষমা চাইতে শোনা যায় বিজেপি কর্মী বাপ্পা করকে।

জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মী বাপ্পা কর গত লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। গত ২ মে ভোটের ফল ঘোষণা হতে তাঁর দোকানটি বন্ধ ছিল। শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বকে দোকান খুলতে দেওয়ার আবেদন জানান বাপ্পা কর।

এবিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা বেলমুড়ি অঞ্চল সভাপতি সুব্রত ব্যানার্জির দাবি, জোর করে কারও দোকান বন্ধ করে তৃণমূলে যোগদান করাননি। বাপ্পা কর নিজে থেকেই দোকান বন্ধ করে রেখেছিলেন বলে দাবি তাঁর।

আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে গিয়ে ভুল করেছিলাম,’ শপথ বাক্য পড়ে অনুব্রত গড়ে তৃণমূলে যোগদান! 

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির হুগলি জেলা সাংগঠনিক সহ সভাপতি মধুসূদন দাস বলেন, সাধারণ বিজেপি কর্মীদের কাউকে মুচলেখা দিয়ে, কাউকে টাকা দিয়ে নিজেদের ব্যবসাপত্র শুরু করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এই ধরণের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে ভুরি ভুরি। তাঁর কটাক্ষ, “ঘোড়াকে জোর করে জলে নামানো যায়, কিন্তু জল খাওয়ানো যায় না। সন্ত্রাস শেষ কথা বলতে পারে না। বামেরা এই ভাবে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এদেরও বিদায় নিতে হবে, শুধু সময়ের অপেক্ষা।’