AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ayan Sil: ‘সব কী আর ফর্মুলা মেনে হয়’, নত মাথায় বললেন অয়নের শিক্ষক বাবা

Ayan Sil: অন্যদিকে মন ভাল নেই শ্বশুর মনোরঞ্জন দাসেরও। চুঁচুড়া কারবালা মোড় এলাকার ওই বৃদ্ধ জানান, নিজেই পছন্দ করে অয়নকে বিয়ে করেছিলেন তাঁর মেয়ে।

Ayan Sil: ‘সব কী আর ফর্মুলা মেনে হয়’, নত মাথায় বললেন অয়নের শিক্ষক বাবা
অয়ন শীল (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2023 | 11:25 PM
Share

হুগলি : শনিবার বিকালে প্রথম তাঁর সল্টলেকের অফিসে গিয়েছিল ইডি (ED)। চলেছিল রাতভর তল্লাশি। সেখানে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে একের পর এক কেউটে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও অয়ন শীলের (Ayan Sil) ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে তিন মহিলার নামেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। শুধু নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়, হাত পাকিয়েছিলেন সিনেমা-সিরিয়ালেও। আছে হোটেলের ব্যবসাও। ‘বড়’ হওয়ার নেশাই জামাইকে শেষ করে দিল বলে ইতিমধ্যেই আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন তাঁর শ্বশুর মনোরঞ্জন দাস। শ্বশুরের মতোই একই কথা বলছেন অয়নের বাবা সদানন্দ শীল। নিয়োদ দুর্নীতিতে ছেলের গ্রেফতারির ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন তিনি। বয়স তাঁর ৮৪। কিন্তু, শক্ত হাতে মানুষ হওয়ার পাঠ দিয়ে যাচ্ছেন তাঁর ছাত্রদের। কিন্তু, শিক্ষিত অশীতিপর বৃদ্ধের ছেলেই কী করে এমন হল? 

এ প্রশ্নে বৃদ্ধ বলেন, “সব কিছু তো আর ফর্মুলা মেনে হয় না। অনেক ঘটনাই তো এমন ঘটে।” এদিকে অয়নকে গত শনিবার রাতে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে অয়নের বাবা সদানন্দ ও মা অমিতা দেবীকে বাইরে বেরোতে দেখা যায়নি। এদিন বিকালে হঠাৎই জগুদাসপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে দুটি ব্যাগ নিয়ে ছেলের ফ্ল্যাটে যান সদানন্দ বাবু। তখনই ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি আর কী বলব। আমার তো কিছুই বলার নেই। মনটা ভাল নেই। আর কিছু বলব না। ভাল লাগছে না।” 

অন্যদিকে মন ভাল নেই শ্বশুর মনোরঞ্জন দাসেরও। চুঁচুড়া কারবালা মোড় এলাকার ওই বৃদ্ধ জানান, নিজেই পছন্দ করে অয়নকে বিয়ে করেছিলেন তাঁর মেয়ে। তবে বিয়ের পর থেকে হাতে গোনা কয়েকবার তাঁর বাড়িতে এসেছেন অয়ন। ইদানীং আর সেই রকম কোনও যোগাযোগও রাখেন না। মেয়ে থাকে দিল্লিতে। তিনি বলেন, “অয়নের বাবা সদানন্দ শীল আমার কাছে আক্ষেপ করে বলেছিলেন ছাত্রদের পড়িয়ে মানুষ করি। কিন্তু নিজের ছেলের বেলায় অন্যরকম হয়ে গেল। আমি মনে করি আমার মেয়ে এত গভীর ভাবে বিষয়টা জানত না। ও জানলে আমরাও জানতে পারতাম। আর জানলে সৎ উপদেশ দিতাম। সৎ ভাবে বাঁচার কথা বলতাম। আসলে ওকে ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা জানতাম না এত কিছু।” এমনকী জামাই যে প্রোমোটারি করে সে কথা তাঁদের অজানা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।