Hooghly: ‘উন্নয়ন’ নিয়ে তৃণমূলের দুই নেতার কোন্দল, আটকে রইল কাজ
Hooghly: পঞ্চায়েতের বর্তমান উপপ্রধান ভবেশ ঘোষ প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। যদিও প্রাক্তন প্রধানের দাবি, মানুষকে মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। সেটাই বলা হয়েছে। কোনওভাবেই কাজে বাধা দেওয়া হয়নি।
হুগলি: পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে তৃণমূলেরই অন্দরে কোন্দলের অভিযোগ উঠল এবার। হুগলির কানাইপুর গ্রামপঞ্চায়েতে কেএমডিএর কাজে প্রাক্তন প্রধান তথা হুগলি জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আচ্ছেলাল যাদব এই বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েতের বর্তমান উপপ্রধান ভবেশ ঘোষ প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। যদিও প্রাক্তন প্রধানের দাবি, মানুষকে মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। সেটাই বলা হয়েছে। কোনওভাবেই কাজে বাধা দেওয়া হয়নি।
কানাইপুর গ্রামপঞ্চায়েতের আদর্শনগর এলাকায় তিন বছর পর নতুন তৈরি হওয়া ঢালাই রাস্তা কেটে আবার নতুন করে পাইপলাইনের কাজ শুরু করার কথা। অভিযোগ, এই নতুন করে রাস্তা কাটাকে কেন্দ্র করেই ঝামেলা। আচ্ছেলাল যাদবের কথায়, “আমি যখন প্রধান ছিলাম তখনই এই কাজটা আমরা আনি। ফলে বাধা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। সমস্যাটা হল, কেএমডিএর তরফে যে সংস্থা কাজ করতে এসেছিল তিন বছর নষ্ট করে। ওখানকার মানুষ ব্যাপক কষ্ট করেছে তিন বছর। তারপর আমরা কাজ করানো শুরু করি। এখন নতুন একটা এজেন্সি এসেছে কাজ করতে। উন্নয়নের কাজ তো করতেই হবে। কিন্তু আমরা বলেছিলাম রাস্তাটা যাতে তাড়াতাড়ি ঠিক করে দেওয়া হয় সেটা নিশ্চিত করে কাজ করুক। তা নিয়ে আলোচনা করে কাজ হোক।”
উপপ্রধান ভবেশ ঘোষের অবশ্য বক্তব্য, “সকাল থেকেই কাজ শুরু হয়। প্রাক্তন প্রধান বাজে ব্যবহার করেন, গালাগাল করেন। জানি না কেন উনি এটা করছেন? একটা উন্নয়নের কাজ চলছে, চারদিকে পাইপলাইনের কাজ চলছে। অথচ আচ্ছেলাল যাদব বাধা দিচ্ছেন। উনি কোন দলের সেটা বড় না, উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই।”
যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘদিন পর এলাকায় তাঁরা ভাল রাস্তা পেয়েছেন। অথচ কয়েক দিনের মধ্যেই তা ভাঙতে চলে এসেছে। তাতে এলাকার লোকজনেরই যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে। তবে এই কাজ ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে যে কোন্দলের আবহ তা মানছেন সকলেই।