AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Khanakul: ছেলেকে চোর সন্দেহ, মাকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক ‘মার’, রেহাই মাঝরাতে, তপ্ত খানাকুল

Khanakul: আতঙ্কে গোটা পরিবার। আতঙ্কিত গোটা গ্রাম। পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে স্থানীয় লোকজন। উঠেছে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি। তুমুল উত্তেজনা খানাকুলে।

Khanakul: ছেলেকে চোর সন্দেহ, মাকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক 'মার', রেহাই মাঝরাতে, তপ্ত খানাকুল
ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায় Image Credit: TV-9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Feb 22, 2024 | 11:17 PM
Share

আরামবাগ: মিথ্যা অভিযোগে বাড়ি থেকে এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অমানবিক ভাবে অত্যাচার করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। আর তাতে উত্তাল খানাকুল। অভিযোগ, প্রায় ১১ ঘণ্টা অত্যাচার চালায় স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুলিশ আধিকারিক। এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে খানাকুল থানার পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। কীভাবে একজন পুরুষ পুলিশ কর্মী একজন মহিলার উপর এ ধরনের কাজ করতে পারেন সেই প্রশ্ন উঠছে এলাকায়। অত্যাচারিত ওই গৃহবধূর মা ইতিমধ্য়েই খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর শাস্তির দাবিতে পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে বচসাও হয় এলাকার মহিলাদের। সকলের একটাই দাবি, যুগীকুন্ডু পুলিশ ফাঁড়ির অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী তুষার মণ্ডলের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে। বিক্ষোভের জেরে দিনভর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

খানাকুলের চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চ এলাকায় খানাকুল থানার একটি পুলিশ ফাঁড়ি আছে। সেই ফাঁড়ির পাশেই আছে প্রাইমারি বিদ্যালয়। সেখানেই পড়াশোনা করে অত্যাচারিত গৃহবধূর নাবালক ছেলে। সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে ওই পুলিশ কর্মীর একটি ব্রেসলেট হারিয়ে যায়। সন্দেহ গিয়ে পড়ে ওই গৃহবধূর ছেলের উপর। চুরির অপবাদও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বুধবার বিকাল তিনটের সময় থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর মাকে। ১১ ঘণ্টা পর মধ্য রাতে ওই মহিলাকে ছাড়া হলেও তাঁর শারীরিক অবস্থা তখন খুবই খারাপ ছিল বলে জানাচ্ছেন পরিবারের লোকজন। রাতেই তাঁকে তড়িঘড়ি খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আরামবাগে একটি বেসরকারি নার্সিহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের এই নির্মম অত্যাচারের কথা ভাবলেই এখনও শিউরে উঠে ওই মহিলার পরিবারে। আতঙ্কের আবহ গ্রামেও।