বিডিও অফিসে লকেট ঢুকতেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, ফাটল বোমা

লকেট (Locket Chatterjee) জানান, তিনি সাংসদ। সেই তাঁকেই এলাকায় ঢুকতে দেখে যদি বিক্ষোভ, বোমাবাজি হয় তাহলে কর্মী তথা সাধারণ মানুষ কী অবস্থার মধ্যে রয়েছেন তা আন্দাজ করাই যায়।

বিডিও অফিসে লকেট ঢুকতেই 'জয় বাংলা' স্লোগান, ফাটল বোমা
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 07, 2021 | 11:51 PM

হগলি: ভোট পরবর্তী হিংসায় হাজার খানেক কর্মী বিজেপি কর্মী (BJP Wokers) ঘরছাড়া। তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে আনা ও তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ধনিয়াখালী বিডিও অফিসে ঢুকছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। ঠিক তখনই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলেন একদল যুবক। এলাকা কেঁপে উঠল বোমা ফাটার বিকট শব্দে।

বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির পাল্টা হিসেবে তৃণমূলের স্লোগান, ‘জয় বাংলা’। এই দুই স্লোগানকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে বহু বিতর্ক হয়েছে। আবার বিজেপি সাংসদ লকেটকে দেখা গিয়েছে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা মাস্ক পরে লোকসভার বিতর্কে অংশ নিতে। এদিন সেই একুশের ভোটে চুঁচুড়া কেন্দ্রে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী বিডিও অফিসে ঢুকতেই তাঁকে উদ্দেশ্য করে উঠল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান।

শুক্রবার বেলা আড়াই টা নাগাদ বিডিও অফিসে ঢোকেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বিডিও অফিসে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই ওঠে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। ‘লকেট চট্টোপাধ্যায় ধনিয়াখালি থেকে বেরিয়ে যাও’ এমন স্লোগান তুলেও বিক্ষোভ দেখান একদক যুবক।

এদিকে বিডিও অফিসে আসা নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, ধনিয়াখালি ব্লকে প্রায় তিন হাজার বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া। বহু বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রশাসন যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয় সে কারণেই ব্লক অধিকারীকের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি।

আরও পড়ুন: ‘সারদার গলার লকেট’ মমতার কটাক্ষের পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিলেন লকেটই 

লকেট আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তার খোঁজ নিতেই আসা। সেই সঙ্গে অভিযোগ করেন, তিনি সাংসদ। সেই তাঁকেই এলাকায় ঢুকতে দেখে যদি বিক্ষোভ, বোমাবাজি হয় তাহলে কর্মী তথা সাধারণ মানুষ কী অবস্থার মধ্যে রয়েছেন তা আন্দাজ করাই যায়। এমনকী তাঁর দাবি, বিডিও নিজেই তাঁকে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে বলছেন সুরক্ষার স্বার্থে।

আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত খেজুরির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল, এবার কি বিজেপিতে?

এদিকে বিডিও অফিস থেকে বেরিয়ে লকেট যখন পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলছেন তখনও বোমাবাজির শব্দ শোনা যায় এলাকায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তিনি ধনিয়াখালি ছাড়েন।