Barasat Domestic Violence: ‘বলেছিলাম বাচ্চাটা হলে সব ঠিক হয়ে যাবে’, শ্বশুরবাড়ির একটা কথাতেই এক লহমায় নিঃস্ব অন্তঃসত্তার বাবা-মা
Barasat Domestic Violence: এক অন্তঃসত্তার মৃত্যুতে রহস্য দানা বাঁধল। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে গৃহবধূর পরিবার।
হুগলি: সন্ধ্যায় ডাক্তারও দেখিয়ে আসে। কিন্তু রাতেই কীভাবে গলায় দড়ি দিতে পারে মেয়ে। তাও আবার যখন তাঁর শরীরেই বাস করছে আরও একটা প্রাণ! বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা। এক অন্তঃসত্তার মৃত্যুতে রহস্য দানা বাঁধল। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে গৃহবধূর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে। মৃতের নাম রিম্পা কর্মকার (২৪)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দশ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল চুঁচুড়া রবীন্দ্রনগর কালীতলার বাসিন্দা রঞ্জিত সাহার সঙ্গে। সাত মাসের গর্ভবতী ছিলেন গৃহবধূ। পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে খবর দেওয়া হয় গলায় দড়ি দিয়েছে মেয়ে। ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, মেরে ফেলা হয়েছে মেয়েকে। চুঁচুড়া থানায় শুক্রবার অভিযোগ দায়ের করে পরিবার।
বধুর মা মনিকা ও বাবা শৈলেন কর্মকারের অভিযোগ,মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে অত্যাচার করা হত। অশান্তি যে হত, মেয়ে তাঁদের জানিয়েছিল আগেই। গৃহবধূর মা বলেন, “আমরা বলতাম একটু সহ্য কর, সব ঠিক হয়ে যাবে। ওর শ্বশুর শ্বাশুড়িকেও বলতাম মেয়েকে মানিয়ে নিতে। বিয়ের সময় কোনও যৌতুক নেয়নি ঠিকই। মেয়ে বলত ওরা কী চায়, সেটা বুঝতে পারি না। বলেছিলাম বাচ্চাটা হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।” কাঁদতে কাঁদতে গৃহবধূর মা বলেন, “মেয়ে আমার চাকরি করতে চেয়েছিল। ওরা বাঁচতে দিল না। কাল রাতে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে গিয়েছে।” বধূর স্বামী রঞ্জিত সাহার দাবি,খুন নয় আত্মহত্যা করেছেন তাঁর স্ত্রী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।