BJP: বিজেপিকে পঞ্চায়েতে জেতানোর ‘শাস্তি’, কেটে দেওয়া হল বাঁশের সাঁকো
Khanakul: বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে খানাকুল-২ ব্লক এলাকার নতিবপুর-১ পঞ্চায়েতে তৃণমূল জেতে। নতিবপুর-২ পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। খানাকুলের বালিগোড়ি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এই দুই গ্রামপঞ্চায়েতের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে মুণ্ডেশ্বরী নদী। তার উপরই বাঁশের সাঁকো।

হুগলি: পঞ্চায়েতে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কারণে যোগাযোগের সাঁকো কেটে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নদীর উপর বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকোই করাত দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। খানাকুলের বালিগোড়ি গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার লোকজন। ঘটনাস্থলে যান বিজেপির বিধায়ক। এলাকা ঘুরে তিনিও তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি, বর্ষায় জলের তোড়ে সাঁকোটি ভেঙে গিয়েছে। বিপর্যয় ছাড়া কিছুই নয়। অকারণে এই ঘটনায় রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে।
বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে খানাকুল-২ ব্লক এলাকার নতিবপুর-১ পঞ্চায়েতে তৃণমূল জেতে। নতিবপুর-২ পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। খানাকুলের বালিগোড়ি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এই দুই গ্রামপঞ্চায়েতের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে মুণ্ডেশ্বরী নদী। তার উপরই বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো রাতের অন্ধকারে নদীতে জল বাড়ার সুযোগ নিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কারণে এমনটা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি এলাকার অষ্ট দিগর, কালীপদ দাসদের। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামের মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না। বুড়ো-বাচ্চাদের নিয়ে আরও সমস্যা হচ্ছে।
খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, “গ্রামবাসীরা বলছেন ব্রিজটা কেটে দেওয়া হয়েছে। রাতের অন্ধকারে ব্রিজের একটা অংশ কেটে দেওয়া হয়। আর তার জেরেই জলের হালকা স্রোতে বাকিটা ভেসে যায়। আমিও ওখানে গিয়ে দেখেছি, চারপাশে কাঠের গুঁড়ো ছড়ানো। মেশিন দিয়ে কাটা হয়েছে। খানাকুল থানার ওসিকে জানিয়েছি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এখানে বিজেপির পঞ্চায়েত। মানুষের কাছে ভুল বার্তা দিতেই এসব করছে। একটা চক্র কাজ করছে। স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতাও তাতে জড়িয়ে।”
যদিও তৃণমূলের ব্লক সম্পাদক বিপ্লব লহরীর কথায়, “এটা একেবারে ভিত্তিহীন কথা। ডিভিসি জল ছেড়েছে। সেই জলের তোড়ে ব্রিজটা ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ব্রিজটা ভগ্নপ্রায়ই ছিল। তৃণমূল এসব কেন করতে যাবে? রাজনীতি করতে আমাদের ঘাড়ে ঠেলছে বিজেপি। তৃণমূল কোনওদিনই এসব চায় না। মানুষের যাতে সুবিধা হয়, তার জন্যই তৃণমূল কাজ করে। সুশান্ত ঘোষ এটা নিয়ে রাজনীতি করছেন।”
