Chandannagar Jagadhatri Puja 2023 : চন্দননগরের পুজো কমিটি গুলির জন্য সুখবর, জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে বড় ঘোষণা বিদ্যুৎ দফতরের

Chandannagar Jagadhatri Puja 2023 : আর কয়েকদিন। তারপরই জগদ্ধাত্রী পুজো। আর চন্দননগর যে এই পুজোর জন্য বিখ্যাত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু পুজো নয়, এখানকার লাইটিং দেখার জন্য জেলার বাইরের প্রচুর মানুষের সমাগম হয় এলাকায়।সেই পুজো নিয়ে নানা ভাবনা যেমন থাকে পুজো কমিটি গুলির। তৎপর থাকে প্রশাসন।

Chandannagar Jagadhatri Puja 2023 : চন্দননগরের পুজো কমিটি গুলির জন্য সুখবর, জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে বড় ঘোষণা বিদ্যুৎ দফতরের
জগদ্ধাত্রী পুজো
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2023 | 6:34 AM

হুগলি: আর চিন্তা নেই! এবার বিদ্যুতের খরচ কমছে জগদ্বাত্রী পুজোয়। শুধু তাই নয়, বিসর্জনের সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রবণতাও কমবে। জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর।

আর কয়েকদিন। তারপরই জগদ্ধাত্রী পুজো। আর চন্দননগর যে এই পুজোর জন্য বিখ্যাত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু পুজো নয়, এখানকার লাইটিং দেখার জন্য জেলার বাইরের প্রচুর মানুষের সমাগম হয় এলাকায়।সেই পুজো নিয়ে নানা ভাবনা যেমন থাকে পুজো কমিটি গুলির। তৎপর থাকে প্রশাসন।

প্রতিবারই পুজোর আগে প্রশাসনিক বৈঠক করা হয়। কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা জানিয়ে দেওয়া হয় পুজো কমিটিগুলিকে। সেই মতো এবছরও চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, হুগলি জেলা শাসক মুক্তা আর্য,চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি,মেয়র চন্দননগর রাম চক্রবর্তী,ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রলয় চক্রবর্তী সহ পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতর,রেল,স্বাস্থ্য দফতর,পুরসভার জন প্রতিনিধি ও আধিকারিকরা।

মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের জেনারেল ম্যানেজার কিংকর সিং জানিয়েছেন, এই বছর জগদ্ধাত্রী পুজোয় বিদ্যুৎ খরচ অনেকাংশে সাশ্রয় হবে। একটি হিসাব তুলে ধরে কিংকরবাবু বলেন, “গত বছর ২৭০ টাকা প্রতি কিলো ওয়াট প্রতিদিন বিদ্যুৎ খরচ ছিল। এবার সেটা ১৮৮ টাকা করা হয়েছে। এতে বারোয়ারি পুজো গুলির বিদ্যুৎ খরচ অনেকটা কম হবে।”

চন্দননগরে প্রত্যেক বারোয়ারি পুজোতে আলোর খেলা দেখা যায়। বড় বড় গেট থেকে নানা ধরনের আলোর কারসাজি থাকে। সেখানে বিদ্যুৎ বেশি লাগে। তবে বিদ্যুতের দাম কমায় সেই খরচ কমবে। এছাড়া বিসর্জন ও রাতে শোভাযাত্রার জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার সময়ও কমানো হচ্ছে। একটা সময় ছিল দশমী ও একাদশীর দিন গোটা চন্দননগরকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা থাকত। কিন্তু এবার সেই সম্ভাবনা অনেক কম।

কিংকর সিং বলেন, “শোভাযাত্রার রুটে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হবে না। যেসব প্রতিমা দিনে বিসর্জন হয় সেগুলিকে বের করে গাড়িতে তোলার সময় আগে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হত। এবার প্রতিমা বের করার সময় বিচ্ছিন্ন হবে। আবার প্রতিমা বেরিয়ে গেলে লাইন জুরে দেওয়া হবে। আগের থেকে অনেক কম সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে। চন্দননগরে আন্ডার গ্রাউন্ড কেবলের কাজ চলছে।আশা করা যায় আগামী বছর এই সমস্যাও থাকবে না।”

অপরদিকে, কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির চেয়ারম্যান নিমাই দাস বলেন, “আগে দুদিন বিদ্যুৎ থাকত না। অসুবিধা হত। তবে আমরা মানিয়ে নিতাম।এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। এ বছর ৬২ টি বারোয়ারি শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। ২৩২ টি লরি থাকবে। সেই শোভাযাত্রায় যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেটা বিদ্যুৎ দফতরকে দেখতে বলেছি।”