Child death: খেলতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না পরিবেরের ‘দুষ্টু’ ছেলেটার! শোকার্ত গোটা পরিবার

Hooghly: দুপুর গড়িয়ে সন্ধে নামলে আর দেরি করেননি পরিবারের সদস্যরা। কারণ ততক্ষণে বিপদের আঁচ পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা।

Child death: খেলতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না পরিবেরের 'দুষ্টু' ছেলেটার! শোকার্ত গোটা পরিবার
সদ্যোজাত শিশুর মৃ্ত্যু প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2021 | 1:53 PM

হুগলি: মর্মান্তিক খবর। গতকাল থেকে নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল এক নাবালকের দেহ। ঘটনায় শোকার্ত গোট পরিবার। ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতে পারা যায়নি।

মৃত শিশুটির নাম ইয়াসিন শেখ (Yasin Sekh)। বয়স ১০। ইয়াসিন স্থানীয় সুলতানপুর (Sultanpur) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। সূত্রের খবর গতকাল সকালবেলা বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যায় সে।

প্রতিদিনই সকালবেলা বন্ধুদের সঙ্গে খলতে যেত ইয়াসিন। পরে একেবারে স্থান করে বাড়ি ফিরত দুপুরে ভাত খাওয়ার জন্য।

গতকালও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি যে ছেলেটা আর ফিরবে না। বেলা গড়িয়ে দুপুর হতে যায়। প্রায় আড়াইটে বেজে যাওয়ায় সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। ইয়াসিন কেন ফিরছে না তাই ভেবে সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। শুরু হয় খোঁজখবর নেওয়া। কিন্তু ইয়াসিনের বন্ধুদের কাছ থেকে কোনও খোঁজ খবর মেলেনি।

দুপুর গড়িয়ে সন্ধে নামলে আর দেরি করেননি পরিবারের সদস্যরা। কারণ ততক্ষণে বিপদের আঁচ পেয়ে গিয়েছেন তারা। বুঝতে পেরেছিলেন বাড়ির দূরন্ত ছেলেটি নিশ্চয় কোনও বিপদ ঘেটেছে। তাই সোজা চলে যান পুলিশ স্টেশনে। গুপ্তিপাড়া পুলিশকে সব জানানো হয়। রাতে সুলতান পুর, গুপ্তিপাড়া সহ গোটা এলাকায় মাইকে প্রচার করা হয়।

অবশেষে আজ সকালে নৌকা করে খুঁজতে বের হয় পুলিশ।তখনই গঙ্গার ধারে হাঁটু জলে ইয়াসিনের দেহ। পরনে হাফ প্যান্ট থাকলেও গায়ে গেঞ্জি ছিলনা।

ইয়াসিন শেখের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ইমামবাড়া হাসপাতালে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। বালকের পরিবারের অভিযোগ মৃতদেহে আঁচরের দাগ রয়েছে,জলে ডুবে মৃত্যু হলে দেহ ফুলে উঠত।তাই তাদের অভিযোগ খুন করা হয়ে থাকতে পারে।

পুলিশ জানিয়েছে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে।তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পস্ট হবে। ওই নাবালকের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাদ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে যায় ইয়াসিন।বন্ধুরা ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি।

এদিকে, নদিয়া থেকেও আরও এক শিশু মৃত্যুর কবর এসেছে। জগদ্ধাত্রী পুজো সাঙের আয়োজন করতে  দিতেই হবে। আর এই দাবি নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল থেকে নদিয়ার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে চলল অবরোধ। সেই অবরোধে আটকে গেল একটি অ্য়াম্বুলেন্স। এক সাত বছরের অসুস্থ শিশুকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাাতালে। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। অবরোধের জেরে অ্যাম্বুলেন্স আটকে যেতেই হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মৃত্য়ু হল শিশুর। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থেকেও কোনও পদক্ষেপ করেনি।

আরও পড়ুন: Municipal Election: পুরভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে, শুক্রবারই বসছে প্রথম বৈঠক