Child Murder Allegation: ছাগলে খেয়েছে ধান, নিজের ৬ মাসের ছেলেকে বলি দিতে হল দম্পতিকে! ঘটনাটা ঠিক কী?

Child Murder Allegation: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাসিম আলির বেশ কিছু ছাগল রয়েছে। সেগুলো দিনের বেশির ভাগ সময়ে ছাড়াই থাকে বলে অভিযোগ। গা লাগোয়া বাড়ি হওয়ায় ছাগল ঢুকে যায় বাপি সরেনের বাড়ির উঠোনেও।

Child Murder Allegation: ছাগলে খেয়েছে ধান, নিজের ৬ মাসের ছেলেকে বলি দিতে হল দম্পতিকে! ঘটনাটা ঠিক কী?
পাণ্ডুয়ায় শিশুকে খুনের অভিযোগ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 08, 2022 | 7:28 PM

হুগলি: ছাগলে ধান খেয়েছে বাড়ির। আর তা নিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঝামেলা। বলি হতে হল ৬ মাসের শিশুকে। কোল থেকে কেড়ে শিশুকে আছড়ে মারার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ভয়ঙ্কর কাণ্ড হুগলির পাণ্ডুয়ার শিখিরা চাঁপতার হরিদাপুর এলাকায়।

হরিদাসপুর গ্রামের বাসিন্দা বাপি ও তাঁর স্ত্রী আরতি সরেনের প্রতিবেশী হলেন নাসিম আলি ও মফিজা খাতুন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাসিম আলির বেশ কিছু ছাগল রয়েছে। সেগুলো দিনের বেশির ভাগ সময়ে ছাড়াই থাকে বলে অভিযোগ। গা লাগোয়া বাড়ি হওয়ায় ছাগল ঢুকে যায় বাপি সরেনের  উঠোনেও। সেখানে ধান খেয়ে নেয় ছাগল। এই নিয়ে আগেও দুই বাড়ির ঝামেলা হয়েছে। তবে প্রতিবেশীদের মধ্যস্থতায় তা মিটে যায়। আবার ঝামেলা হয়- মিটে যায়। কিন্তু মাত্রা ছাড়ায় মঙ্গলবার।

একই কারণে দুই পরিবারের মধ্যে ফের অশান্তি শুরু হয়। গত মঙ্গলবার আবার ধান শুকোতে দেন বাপি। সেই ধান খেয়ে নেয় নাসিমের ছাগল। বাপির অভিযোগ, ছাগল ধান খাচ্ছে দাঁড়িয়ে দেখলেও আটকাননি নাসিমের স্ত্রী। ছাগল আটকাতে বলা হলে শুরু হয় দুপক্ষের বচসা। অভিযোগ মাফিজার হাতে ছাগল তাড়ানো লাঠি ছিল। সেই লাঠি দিয়ে বাপিকেই মারধর করেন তিনি। আরতি সে সময় আটকাতে যান। তাঁর কোলে ছিল ছ’মাসে শিশু। আরতি তাঁর স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। অভিযোগ, সে সময় মাফিজা তাঁর কোল থেকে শিশুকে কেড়ে নিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন।

মারাত্মক চোট লাগে শিশুটির। আহত শিশুটিকে প্রথমে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় । ফের শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে, শুরু হয় বমি। পরিবারের লোকজন তাকে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। শিশুটির মা আরতির বয়ান অনুযায়ী, চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ছেলের মাথায় আঘাত লেগেছিল।

আরতির কথায়, “সেদিন থেকেই আমার ছেলের শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ডাক্তারবাবুরা জানিয়েছিলেন ওর মাথায় চোট লেগেছে। বাড়ি নিয়ে এসেছিলাম। তারপর হঠাৎ বমি শুরু করল। ওরা আমার বাচ্চাটাকে কোল থেকে কেড়ে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিল। আমারা বাচ্চাকে শেষ করে দিল। বাঁচাতে পারলাম না।” কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই বাপি।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশীর নামে থানায় অভিযোগ করেছেন দম্পতি। অভিযোগ মানতে চাননি নাসিম ও তাঁর স্ত্রী। পান্ডুয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে এখনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ দায়ের হলে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

আরও পড়ুন: Gangasagar Mela: নোনা জলে কি সত্যিই করোনা ছড়ায় না? রাজ্যের যুক্তিতে কী বলছেন চিকিৎসকেরা?

আরও পড়ুন: Covid Rules: বিক্রেতা পিছু একজন করে ক্রেতা! নয়া নিয়ম জারি হচ্ছে কলকাতার বাজারে