Hooghly: ‘টাকার বিনিময়ে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ হচ্ছে’, হাসপাতাল উদ্বোধনের আগেই বিতর্ক ফুরফুরায়
Furfura ABS memorial hospital: গ্রামবাসীদের নাম করে লাগানো এই পোস্টার-ব্যানার ঘিরে রাজনৈতিক তরজা বেধেছে। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর অভিযোগ, শাসকদলের নেতাদের মদতে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ করা হচ্ছে কর্মী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা তথা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কাশেম সিদ্দিকী।

হুগলি: হাসপাতালের এখনও উদ্বোধন হয়নি। তার আগেই আবু বক্কর সিদ্দিকী মেমোরিয়াল হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক। অর্থের বিনিময়ে হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে পোস্টার, ব্যানার দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের নিয়োগ করার দাবি জানিয়ে পোস্টার পড়েছে। অর্থের বিনিময়ে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের অভিযোগ ঘিরে শাসকদলকে আক্রমণ করেছেন আইএসএফ বিধায়ক তথা পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী।
ফুরফুরা শরিফের দাবি মেনে আবু বক্কর সিদ্দিকী মেমোরিয়াল হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে ফুরফুরায়। মাস কয়েক বাদেই উদ্বোধন হতে পারে হাসপাতালের। উদ্বোধনের আগেই হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীদের নাম করে এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার, ব্যানার পড়েছে। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, শাসকদল তৃণমূলের মদতে টাকার বিনিময়ে হাসপাতালে বাইরে থেকে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। পোস্টারে দাবি করা হয়, এলাকার ছেলেমেয়েদের হাসপাতালে নিয়োগ করতে হবে।
গ্রামবাসীদের নাম করে লাগানো এই পোস্টার-ব্যানার ঘিরে রাজনৈতিক তরজা বেধেছে। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর অভিযোগ, শাসকদলের নেতাদের মদতে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ করা হচ্ছে কর্মী। তাঁর কথায়, “বেশ কয়েকদিন ধরে কানাঘুষো চলছিল। খবর পাচ্ছি, অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ করা হচ্ছে। ফুরফুরা অঞ্চলের মানুষ সুযোগ পাচ্ছে না। আমি চাই, এলাকার ছেলেরা কাজ পাক। তাতে বেশিরভাগ তৃণমূলের ছেলে হলেও অসুবিধা নেই।”

হাসপাতালটি এখনও চালু হয়নি, তবে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের অভিযোগ ঘিরে বাড়ছে বিতর্ক
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা তথা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কাশেম সিদ্দিকী। তাঁর দাবি, তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতে এটা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, “নিয়োগ তো দূরের কথা। বিল্ডিং এখনও সম্পূর্ণ তৈরি হয়নি। তবে বিরোধীরা বিরোধিতা করবে, রাজ্য সরকার উন্নয়ন করবে।” গ্রামবাসীরা নন, বিরোধীরাই এই পোস্টার-ব্যানার লাগিয়েছে বলে তাঁর দাবি।
এদিকে, যাঁরা পোস্টার ও ব্যানার লাগিয়েছেন, তাঁরা বলছেন, “অন্য এলাকার লোকদের অর্থের বিনিময়ে চাকরি দিচ্ছে। এখানকার লোকেরা চাকরি পাচ্ছে না। আমাদের দাবি, এলাকার ছেলেদের চাকরি দিতে হবে।” অন্যদিকে, গ্রামেরই আর এক অংশ বলছে, বিরোধীরা চক্রান্ত করে ফুরফুরার উন্নয়ন রুখতে চাইছে।
