Khanakul TMC Inner Clash: পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারণের দাবিতে সরব খোদ তৃণমূল উপপ্রধান! দ্বারস্থ হলে বিডিও-র কাছে
Khanakul News: খানাকুলের এই তৃণমূল পরিচালিত পোল ১ নং পঞ্চায়েতের ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ২ জন বিজেপি এবং ১৩ জন সদস্য তৃণমূলের। আর তাঁদের প্রত্যেকের নিশানায় ওই পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিনা খাতুন। সম্প্রতিই তাঁর বিরুদ্ধে বিডিওর কাছে দ্বারস্থ হন সদস্যরা। নেতৃত্ব দেন উপপ্রধান সাবির আলি। কিন্তু কী অভিযোগ উঠছে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে?

হুগলি: দু’জনেই একই দলের নেতা। একই পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান পদে রয়েছেন। আর তাঁদের বিবাদ এখন হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনীতির কারবারীদের কাছে মুচমুচে চর্চার বিষয়। ঘটনা খানাকুলের পোল এলাকার ১নং পঞ্চায়েতের। সেখানে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আসরে নেমেছেন খোদ উপপ্রধান। দ্বারস্থ হয়েছেন বিডিও-র কাছেও।
খানাকুলের এই তৃণমূল পরিচালিত পোল ১ নং পঞ্চায়েতের ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ২ জন বিজেপি এবং ১৩ জন সদস্য তৃণমূলের। আর তাঁদের প্রত্যেকের নিশানায় ওই পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিনা খাতুন। সম্প্রতিই তাঁর বিরুদ্ধে বিডিওর কাছে দ্বারস্থ হন সদস্যরা। নেতৃত্ব দেন উপপ্রধান সাবির আলি। কিন্তু কী অভিযোগ উঠছে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে?
বিক্ষুব্ধদের দাবি, আরামবাগের তৃণমূল জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহের ইন্ধনে একের পর এক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান সাবিনা খাতুন। এমনকি, পঞ্চায়েতের অন্দরে আবহ এতটাই সরগরম যে নেত্রীর ভয়ে সেখানে পা রাখতে পারছেন না তাঁরা। শোনা হচ্ছে না, তাঁদের কোনও রকম দাবি। তাই শেষমেশ বিডিও-র কাছে দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা। দাবি তোলে, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে পঞ্চায়েত প্রধানের অপসারণের।
খানাকুলের এই পরিস্থিতি নিয়ে ওই কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের দাবি, ‘এখানকার রাজনীতি এই ঘটনা প্রথম নয়। শাসকদলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রতিদিনের। আর শুধু খানাকুলের প্রধান-উপপ্রধান বলে নয়। গোটা রাজ্যজুড়ে প্রতিটি পঞ্চায়েতে একই ছবি। যত নির্বাচন এগিয়ে আসবে। এটা ততই চড়াও হবে।’ অবশ্য এই সকল দুর্নীতির অভিযোগকে একেবারে ফুৎকার দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন পোল ১ নং পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিনা খাতুন। তাঁর কথায়, ‘আমি যদি দুর্নীতি করে থাকি, আমার বিরুদ্ধে যা পদক্ষেপ করার করুক। আমি জানি, মানুষ আমাদের পাশে রয়েছে।’
ইতিমধ্যেই উপপ্রধানের থেকে পাওয়া দুর্নীতির অভিযোগ খানাকুলের মহকুমা শাসক-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন খানাকুলের ১-র বিডিও অরিন্দম মুখোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, ‘প্রধান অপসারণের দরখাস্ত পেয়েছি। সব অভিযোগ মহকুমা শাসকের কাছেও পাঠানো হয়েছে। আপাতত পঞ্চায়েত আইনের যে নীতি রয়েছে, তা মেনে এই নিয়ে মুখ খোলা যায় না।’
