Potato: ‘পুতুল না ফুলদানি’, আলু দেখে মাথায় হাত চাষিদের
Potato: চাষিদের আশঙ্কা, এই আলু বিক্রি হবে না। তাঁদের ফেলে দিতে হবে। তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন। যেখান থেকে বীজ কিনেছেন, সেখানেও যাবেন বলে চাষিরা জানান।

হুগলি: অনেক আশা নিয়ে আলু বীজ লাগিয়েছিলেন। এখন জমি থেকে আলু তুলতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ চাষিদের। মাটি খুঁড়ে আলু বের করার পরই অবাক তাঁরা। এসব কী আলু! আলুর অদ্ভুত সব আকৃতি। এর জেরে আলু বিক্রি করতেও সমস্যায় পড়ছেন হুগলির আরামবাগ ও পুরশুড়ার চাষিরা। তাঁদের বক্তব্য, ব্যবসায়ীরা এই আলু কিনতে চাইছেন না। এই আলু বিক্রি না হলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন এখানকার আলু চাষিরা।
জমি থেকে আলু তুলতে গিয়ে চাষিরা দেখেন, আলুর আকৃতি মানুষ ও পশুপাখির মতো। কোনও আলু যেন মানুষের নাক-মুখ-চোখের মতো। আবার কোনও আলু দেখতে হাঁস, মুরগি, ঘোড়া-বিড়াল বা গন্ডারের মতো। আবার কোনও কোনও আলু যেন আস্ত একটা ফুলদানি অথবা পুতুল। বিঘার পর বিঘা জমিতে এমনই অদ্ভুত আকৃতির আলু।

সত্যিই কি এগুলো আলু?
আরামবাগের মলয়পুর ও পুরশুড়ার ডিহিবাতপুর এলাকার কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। কৃষকদের অভিযোগ, জাল আলু বীজের জন্যই ফলন এমন হয়েছে। এক চাষি বলেন, “মনে হয় বীজের সমস্যা। সেজন্যই এমন ফলন হয়েছে। আলু জড়ো করে রাখা হয়েছে। এখানকার ব্যবসায়ীরা এই আলু নিতে চাইছেন না। পঞ্জাব থেকে ব্যবসায়ীরা আসবেন শুনেছি। তবে এখনও কেউ আসেননি।”
এই খবরটিও পড়ুন




আর এক চাষি বলেন, “আলু চাষ করতে বিঘা প্রতি ৪০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এখন আলু তুলতে গিয়ে দেখি এমন আলু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এই আলু কিনতে চাইছেন না। এর আগে এমন আলু কখনও হয়নি।”
চাষিদের আশঙ্কা, এই আলু বিক্রি হবে না। তাঁদের ফেলে দিতে হবে। তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন। যেখান থেকে বীজ কিনেছেন, সেখানেও যাবেন বলে চাষিরা জানান।





