বিধায়কের সঙ্গে দিব্যি পোজ দিয়ে ছবি তুলছেন, এদিকে পুলিশের খাতায় ‘ফেরার’!

TMC: পুলিশের খাতায় ফেরার তিনি। পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে তাণ্ডব করে মহিলা কর্মাধ্যক্ষের চুলের মুঠি ধরে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেখা গেল তারকেশ্বর বিধায়ককে। মুহূর্তের মধ্যে ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। চাঞ্চল্য জেলা জুড়ে।

বিধায়কের সঙ্গে দিব্যি পোজ দিয়ে ছবি তুলছেন, এদিকে পুলিশের খাতায় 'ফেরার'!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2021 | 8:52 PM

হুগলি: পুলিশের খাতায় ফেরার তিনি। পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে তাণ্ডব করে মহিলা কর্মাধ্যক্ষের চুলের মুঠি ধরে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেখা গেল তারকেশ্বর বিধায়ককে। মুহূর্তের মধ্যে সেই ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। চাঞ্চল্য জেলা জুড়ে।

কয়েকদিন আগে গোঘাট পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা কর্মাধ্যক্ষকে মারধর ও হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত গোঘাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সীমন্ত রায়ের নাম এখন পুলিশের খাতায়। তার পর থেকে ফেরার তিনি। অথচ বুধবার সকালে তারকেশ্বরের বিধায়ক তথা তৃণমূল আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায়কে সংবর্ধনা জানানোর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে সীমন্তকে। যা নিয়ে জোর চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে।

বিজেপির টিপ্পনী, তৃণমূলে যারা অভিযুক্ত তারাই বেশি করে প্রশ্রয় পায়ছ। আশ্রয় দেন তৃণমূল নেতারা। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “পুলিশের খাতায় ফেরার অভিযুক্তদের দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের পাশে। এই নাটকবাজি তৃণমূলের পক্ষেই সাজে। একজন মহিলাকে মারধরের ঘটনায় পুলিশের নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করা উচিত। একজন অভিযুক্ত ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ, তাকে গ্রেফতারই করেছে না পুলিশ!”

এ নিয়ে বিধায়ক তথা তৃণমূলের নবনিযুক্ত আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায়ের অবশ্য দাবি, একজন জনপ্রতিনিধির কাছে যে কেউ আসতে পারেন। কে অভিযুক্ত আর কে নন, তা দেখাশোনা করা তাঁর পক্ষে তো সম্ভব নয়। আর বিজেপি ছবি নিয়ে রাজনীতি করেই, কটাক্ষ তাঁর। বলেন, ‘ওঁদের বড় বড় নেতার সঙ্গে আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্তদের বহু ছবি দেখা যায়। আর কেউ যদি অভিযুক্ত হয় তার ব্যবস্থা পুলিশ নেবে।’

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে গোঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ঘরে ঢুকে পড়েন বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতারা। তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে এক মহিলা কর্মাধ্যক্ষের চুলের মুঠি ধরে মারধর করে বের করে দেওয়া হয় অফিস থেকে। ঘটনার জেরে বিডিও অফিস চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষরা গোঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গোঘাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নাম মনোরঞ্জন পাল। আক্রান্ত কর্মাধ্যক্ষের নাম শ্যামলি ঘোষ ও ময়না বাগ। শ্যামলী ঘোষ বনভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ এবং ময়না বাগ স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। তাঁদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই তৃণমূল নেতাকে খুঁজছে পুলিশ। আরও পড়ুন: ‘এটাও পাওনা ছিল!’ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও মহিলা কর্মাধ্যক্ষের চুলির মুঠি ধরে অফিসছাড়া করল দলেরই কর্মীরা!