Shrirampur: কলকাতায় লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আগে শ্রীরামপুরে গীতা পাঠ, ‘চাপে পড়ে এসব করছে’, খোঁচা সুকান্তর
Shrirampur: অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা। রয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি, পুলিশ কর্তা ও টলিগঞ্জের কলাকুশলীরা। কিন্তু, এই অনুষ্ঠানে বিজেপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যেই।
শ্রীরামপুর: চলতি মাসের ২৪ তারিখ কলকাতায় বসতে চলেছে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর। ব্রিগেডে হবে মহা জমায়েত। তার আগেই বড় উদ্যোগ শ্রীরামপুরে। শ্রীরামপুরে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে ট্রাস্টের তরফে সহস্র কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেই আয়োজন। ২ হাজার কণ্ঠে হবে গীতাপাঠ। জানা যাচ্ছে এমনটাই। হাজির হয়েছেন রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা। রয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি, পুলিশ কর্তা ও টলিগঞ্জের কলাকুশলীরা। কিন্তু, এই অনুষ্ঠানে বিজেপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যেই।
সকালেই এসে যান শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোাধ্যায়। এসেই বসে যান পুজোয়। তিনি বলেন, “এদিনের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন। আমাকে উনি পাঠিয়েছেন তাঁর হয়ে প্রতিনিধত্ব করার জন্য। আর আমি তো এখানের সাংসদও। সব সময়ই থাকি। এই জগন্নাথ দেবের মন্দির খুবই পবিত্র। শোনা যায় এখানে চৈতন্যদেব নিজে এসেছিলেন। অনেক মহাপুরুষের পদস্পর্শ হয়েছে। সারা বছরই এই মন্দিরে কিছু না কিছু থাকে। আজ যে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান করা হয়েছে তা ঠিক হয়েছে প্রায় তিন মাস আগে।” যদিও বিজেপির দাবি, ভোট ব্যাঙ্ক হারানোর ভয়ে এসব করছে তৃণমূল।
যদিও বিজেপিকে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি কলকাতার বুকে লক্ষ কণ্ঠে গীত পাঠ হওয়ার কথা রয়েছে। তার প্রস্তুতিও চলছে। এখন হঠাৎ করে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের গীতা প্রেম জেগে উঠেছে। যাঁরা আগে রেড শুধু নামাজ পড়ত, এখন যদি গীতা পড়ে তাহলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আসলে ওরা এখন চাপে পড়ে করছেন। ভোট ব্যাঙ্ক হারিয়ে যাওয়ার ভয়েই এসব করছেন। বিজেপি নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু, গীতা পড়ে যদি সেই অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে হিন্দু হিসাবে তো জন্ম সার্থক হবে।” যদিও এতে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ কল্যাণ। তাঁর দাবি, বিতর্ক যাঁদের করার তাঁরা করবে।