Singur Murder Case: একই পরিবারের চার জনকে ‘খুন’, সিঙ্গুরের ঘটনায় এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত, জালে ৩

Hooghly Murder Case: হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, গত কালই দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

Singur Murder Case: একই পরিবারের চার জনকে 'খুন', সিঙ্গুরের ঘটনায় এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত, জালে ৩
খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2021 | 10:30 AM

হুগলি: সিঙ্গুরের নান্দায় একই পরিবারের চার জনকে খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে তিন জন। মৃতদের নিকট আত্মীয় যোগেশ ধাওয়ানীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, বৃহস্পতিবারই  দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও ফেরার। খুনের কারণ ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও উদ্ধার করা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে আরও এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম দীনেশ প্যাটেল। তবে মূল অভিযুক্ত যোগেশের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। শুক্রবার ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়েছে স্নিফার ডগ।

সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জের। প্রাণ খোয়াতে হয় একই পরিবারের ৪ জনকে। প্রৌঢ় দম্পতি দীনেশ প্যাটেল ও অনুষ্কা প্যাটেলকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। অভিযোগ, প্যাটেল পরিবারের আত্মীয় যোগেশের বিরুদ্ধে। খুন করে পলাতক অভিযুক্ত। গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দীনেশ প্যাটেলের বাবা মাওজি প্যাটেল ও দম্পতির ছেলে ভাবিক প্যাটেলকেও। রাতে মৃত্যু হয় আরও দু’জনের। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা। তবে  শুধুমাত্র সম্পত্তির বিবাদ না নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্যাটেলদের বাড়িতে যান আত্মীয় যোগেশ ধাওয়ানী। সেখানে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তখনই রাগের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন যোগেশ। তবে পুলিশের মনে সন্দেহ, কেবলই কি পারিবারিক বিবাদে এত ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ করতে পারেন যোগেশ? এটা কি কোনও আকস্মিক ঘটনা নাকি পরিকল্পিতভাবে খুন করার জন্যই অস্ত্র নিয়ে এসেছিলেন যোগেশ? প্রশ্ন রয়েছে একাধিক।

হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, ব্যাবসা বা সম্পত্তিগত বিষয়ে এই খুন করা হয়েছে৷ পরিকল্পনা করে নয়, সাময়িক উত্তেজনার বশে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান।”

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে সিঙ্গুরের নান্দায় ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। একই বাড়ি থেকে চার জনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের প্রত্যেকের শরীরেই একাধিক জায়গায় ক্ষত ছিল। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল মাটি। গোঙানির শব্দ শুনতে পেয়ে স্থানীয়রাই তাঁদের উদ্ধার করেছিলেন। পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ গিয়ে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় দু’জনের। পরে ভোর তিনটে নাগাদ বাকি দু’জনেরও মৃত্যু হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।

শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান আধিকারিকরা। এদিন সকালে স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালানোর কথা রয়েছে। পুলিশের জালে আপাতত ৩ জন। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘জানলার কাচ চুইয়ে পড়ছিল রক্ত, ভিতরে থেকে ওঁদের টেনে বার করে আনতে কষ্ট হচ্ছিল খুবই!’ মধ্যরাতের হাইওয়েতে ভয়ঙ্কর দৃশ্য