AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: হুগলি থেকে গ্রেফতার পাকিস্তানি মহিলা, তাঁকে নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা

Hooghly: শনিবার হুগলি থেকে গ্রেফতার করা হয় পাকিস্তানি এক মহিলা। আদতে রওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা ফতেমা বিবি গত ৪৫ বছর ধরে চন্দননগর কুঠির মাঠ এলাকায় থাকেন। তাঁর স্বামী-সন্তানও এ দেশে রয়েছেন। আর তাঁকে ঘিরে এখন রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

Hooghly: হুগলি থেকে গ্রেফতার পাকিস্তানি মহিলা, তাঁকে নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা
পাকিস্তানি মহিলাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 04, 2025 | 5:21 PM
Share

হুগলি: নাগরিকত্ব রয়েছে পাকিস্তানের তবে ভোট প্রয়োগ করে আসছেন ভারতে।দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ভারতে স্বামী ও দুই কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন চন্দননগরের কুঠির মাঠ এলাকার বাসিন্দা ফাতেমা বিবি (মল্লিক)।তিনি যে ভারতীয় ভোটার তার প্রমাণ রয়েছে নির্বাচন কমিশনের লিস্টে।আর তার ভোটার হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।সে এই দেশের ভোটার কীভাবে হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক দলগুলো।

উল্লেখ্য, শনিবার হুগলি থেকে গ্রেফতার করা হয় পাকিস্তানি এক মহিলা। আদতে রওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা ফতেমা বিবি গত ৪৫ বছর ধরে চন্দননগর কুঠির মাঠ এলাকায় থাকেন। তাঁর স্বামী-সন্তানও এ দেশে রয়েছেন। আর তাঁকে ঘিরে এখন রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

চন্দননগর পুরো নিগমের ডেপুটি মেয়র মুন্না আগারওয়াল জানান, ৪৫ বছর আগে এই বিষয়টি খোঁজখবর করা উচিত ছিল। তাঁর কথায়, “১৯৮০ সালে আমাদের সরকার ছিল না যারা ছিল তারা বলতে পারবে, কীভাবে ভোটার লিস্টে নাম উঠল। যেহেতু উনি ৪৫ বছর ধরে এখানে সংসার করছেন তাই ট্রাইবুনালে মানবিক দিক থেকে এর মীমাংসা করা হবে। মহিলার কোন অবৈধ কার্যকলাপ নেই, সেই দিক থেকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সরকার বিবেচনা করবে। ১৯৮০ সালে যখন এসেছে বামফ্রন্ট সরকার ছিলো,তারা বলতে পারবে। আধার কার্ড ভোটার কার্ড কর্পোরেশনের কোনো বিষয় না এটা ভারত সরকার এবং নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে।”

সিপিআইএম চন্দননগর কমিটির সম্পাদক ঐক্যতান দাশগুপ্ত বলেন, “আমাদের দেশে ১৯৮৫ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত একাধিক সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। এটা রাজ্যের কোন বিষয় না। দেশের স্বরাষ্ট্র দফতরের একটা বড় গাফিলতি থেকে গিয়েছে, যা তারা অস্বীকার করতে পারেন না। নিজেদের গাফিলতি রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে হয় না। রাজ্যকে নোটিফিকেশন দিলে সেই অনুযায়ী রাজ্য কাজ করে।”

চন্দননগরের বিজেপি নেতা গোপাল চৌবের অবশ্য বক্তব্য, শুধু চন্দননগর না আশেপাশে উর্দিবাজার, চাঁপদানি, ভদ্রেশ্বর, বিলকুলিতে খুঁজলে অনেক পাক নাগরিক পাওয়া যাবে।