Hooghly: হাতের বাইরে গতি, গাড়ির পিছনে ‘ঠুকে দিল’ SBSTC-র বাস, বর্ষশেষে রক্তাক্ত যাত্রীরা
Hooghly: জানা গিয়েছে, কলকাতা -বর্ধমানগামী বাসটি বেলা ২টো নাগাদ কলকাতা থেকে ছাড়ে বর্ধমানের উদ্দেশে। সিঙ্গুরের ইন্দ্রখালি এলাকায় জাতীয় সড়কের ওপর আচমকাই বাসের সামনে থাকা একটি গাড়ি গতি কমিয়ে দেয়।
হুগলি: বর্ষশেষে কলকাতা থেকে বর্ধমানগামী SBSTC বাস দুর্ঘটনার কবলে। আহত ৬ ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির সিঙ্গুরের ইন্দ্রখালি এলাকায়। বেলা তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা -বর্ধমানগামী বাসটি বেলা ২টো নাগাদ কলকাতা থেকে ছাড়ে বর্ধমানের উদ্দেশে। সিঙ্গুরের ইন্দ্রখালি এলাকায় জাতীয় সড়কের ওপর আচমকাই বাসের সামনে থাকা একটি গাড়ি গতি কমিয়ে দেয়। তাতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বাসের চালক।
পেছনে থাকা সরকারি বাসটি গতি কমালেও দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি। সামনের গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। গাড়িটির ডানদিকের কাচ ভেঙে যায়। গাড়ির পিছনের অংশও দুমড়ে মুচড়ে যায়। হঠাৎ ঝাঁকুনিতে বাসে থাকা প্রায় ৫০ জন যাত্রীরই অল্পবিস্তর চোট লাগে। তাঁদের মধ্যে ৬ জনের আঘাত গুরুতর। কারোর মাথা, কারোর কপাল ,কারোর ঠোঁট ফেটে গিয়েছে। আহত যাত্রীদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি যাত্রীদের বর্ধমানমুখী অন্য গাড়িতে তুলে বর্ধমানের উদ্দেশে পাঠানো হয়।
বাসের চালক কুশ কুমার সাহা বলেন, “রাস্তায় একটি গাড়ি হঠাৎই ব্রেক কষে। আমি গাড়ি থামাবার অনেক চেষ্টা করি। তা সত্ত্বেও গাড়িটির পিছনে ধাক্কা লেগে যায়। আমি পুলিশকে বিষয়টা জানিয়েছি।”
বাসের যাত্রী গোকুল মল্লিক বলেন, “আমরা বর্ধমান যাচ্ছিলাম। আগে একটা গাড়ি হঠাৎ দাঁড় করিয়ে দেয় তারপরেই ধাক্কা লাগে। এরফলে অনেকেই আঘাত লেগেছে।” তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও নিত্য যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, SBSTC-র বাসগুলোর গতি সাধারণের থেকে অনেকটাই বেশি থাকে। জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে ঝড়ের গতিতে ছুটতে থাকে গাড়ি। সিটে বসেও যেন মনে হয় কোনও জয় রাইডে উপভোগ করছেন। তাই সামনে কোনও গাড়ি চলে এলে দুর্ঘটনা এড়ানো অসম্ভবই বটে!