AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly Wrong Treatment: আগামী সপ্তাহেই বিয়ে ছিল! বাইরে থেকে বোঝাই যায়নি শরীরে বিশেষ ‘ঘাটতি’, হবু কনের মর্মান্তিক পরিণতি

Hooghly Wrong Treatment: চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে চণ্ডীতলার নার্সিংহোমে ভাঙচুর পরিবারের সদস্যদের।

Hooghly Wrong Treatment: আগামী সপ্তাহেই বিয়ে ছিল! বাইরে থেকে বোঝাই যায়নি শরীরে বিশেষ 'ঘাটতি', হবু কনের মর্মান্তিক পরিণতি
ভুল চিকিত্সায় তরুণীর মৃত্যুর অভিযোগ (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2021 | 12:46 PM
Share

হুগলি: এক সপ্তাহ বাদেই ছিল বিয়ে। কেনাকাটা, সব প্রস্তুতি সারা। আচমকাই পেটে ব্যথা! প্রথমে ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট, গ্যাসের ওষুধ টুকটাক! সকলে ভেবেছিলেন হয়তো বেশি খাওয়াদাওয়া হয়ে যাচ্ছে, তাই! কিন্তু কমেনি ব্যথা। যতক্ষণে তাঁকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হল সব শেষ। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন হবু কনে! কিন্তু গোটা পরিস্থিতিতে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য হুগলির চণ্ডীতলার নার্সিংহোমে। মৃতের নাম সুপ্রিয়া ধারা (২৮)। চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে চণ্ডীতলার নার্সিংহোমে ভাঙচুর পরিবারের সদস্যদের।

হাওড়ার জগদীশপুর কামারপাড়ার বাসিন্দা সুপ্রিয়া। পাশের গ্রামের ছেলের সঙ্গেই পরিবারের সদস্যরা বিয়ে ঠিক করেছিলেন। আগামী সপ্তাহেই বিয়ে। বাড়িতে সমস্ত প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছিল। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার আচমকাই পেটে ব্যথা অনুভব করেন সুপ্রিয়া।

মাঝেমধ্যেই এরকম ব্যথা হত। কিন্তু টুকটাক ওষুধ, ডাক্তার দেখিয়ে গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার পর ব্যথা কমেও যেত। কিন্তু বুধবারের ব্যথা ছিল নাছোড়। কোনওভাবে ব্যথা না কমায় স্থানীয় চিকিত্সকের পরামর্শেই চণ্ডীতলা নার্সিংহোমে তাঁকে পরিবারের সদস্যরা নিয়ে আসেন।

দুপুরের পর ভর্তি করা হয় তাঁকে। বিকাল পাঁচটায় মৃত্যু হয় সুপ্রিয়ার। পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোমে কোনও চিকিত্সকই ছিলেন না। বারবার বলা সত্ত্বেও সুপ্রিয়াকে দেখতে কোনও চিকিত্সকই আসেননি। ফলে সুপ্রিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে।

বিকালে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই ক্ষেপে ওঠেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালান তাঁরা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রোগীর এক আত্মীয় রাজু চক্রবর্তী বলেন, “আমরা বারবার বলছিলাম, চিকিত্সককে ডাকুন । মেয়েটা ব্যথায় পড়েছিল। কিন্তু কোনও চিকিত্সকই আসেননি।”

রোগীর এক আত্মীয়র কথায়, “মেয়েটা ব্য়থায় কষ্ট পাচ্ছিল। তাও কোনও চিকিত্সক আসছিলেন না। আমরা বারবার ডাকছিলাম। বিকাল ৪.২৫ মিনিটে মারা গিয়েছে, আর সাড়ে চারটের সময় আমাদের বলা হয়েছে ইসিজি হচ্ছে। অক্সিজেন মাস্কটা খুলে দিয়েছিল। নাক-মুখ দিয়ে গ্যাজলা বেরোচ্ছিল। পেট ফুলে যাচ্ছিল। ভুল চিকিত্সাই হয়েছে।”

যদিও নার্সিংহোমের মালিক লাল্টু ঘোষের দাবি, রোগীর হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ খুবই কম ছিল। নার্সিংহোম থেকে তাঁকে অন্যত্র রেফারও করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ এই নার্সিংহোমে তাঁর চিকিত্সা করার মতো পরিষেবা নেই। অনেক আগে বলা হলেও রোগী নিয়ে যেতে বিলম্ব করে তার পরিবার।

চিকিত্সক বলেন, “হিমোগ্লোবিন ছিল ৪.৬। বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায়নি। আমরা প্রথমেই বলে দিয়েছিলাম, এখানে চিকিত্সার ওত উন্নত পরিষেবা নেই। বাইরে নিয়ে যান। ওঁরা এক রাত রাখতে চেয়েছিলেন। হিমোগ্লোবিন এতটাই কম ছিল যে চিকিত্সা করার মতো সুযোগও মেলেনি।”

আরও পড়ুন: Weather Update: ক্রমেই পারদ নিম্নমুখী, তবে কি এবার শিরশিরে ব্যাপার অনুভূত হবে শীত?

আরও পড়ুন: Manoranjan Bapari: ‘উনি যে বিজেপির বাড়িতে খান, বিজেপির ছেলের সঙ্গে ঘোরেন!’, মনোরঞ্জনের অভিযোগে পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের