
হুগলি: শেষ হয়েও হইল না শেষ। মামলা-পাল্টা মামলার পরও ক্ষান্ত হল না কল্যাণ বনাম রাজ্যপাল সংঘাত। মন্তব্য় না করতে চেয়েও সামান্য খোঁচা মেরে চলে গেলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। শনিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে ‘আত্মঘাতী’ হওয়া বিএলও-র প্রসঙ্গে কমিশনের দিকে তির বিঁধছিলেন তিনি। তবু তার মাঝে উঠে এল রাজ্যপাল প্রসঙ্গ। কল্যাণ বললেন, ‘উনি কৃষ্ণের দশম অবতারের এক অবতার।’
ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন প্রক্রিয়ার কাজের চাপে ‘দমবন্ধ’ অবস্থা রাজ্য়ের বিএলও-দের। শনিবার যখন নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ষষ্ঠীতলায় উদ্ধার হয় পার্শ্বশিক্ষক তথা বিএলও রিঙ্কু তরফদারের ঝুলন্ত দেহ। সেই সময় একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে পুলিশ। তাতে স্পষ্ট হরফে লেখা, ‘আমার এই পরিণতির জন্য কমিশন দায়ী।’
শনিবার এই দায় ঠেলার কাজটা কল্যাণও করলেন। তৃণমূল সাংসদের দাবি, ‘আমি জ্ঞানেশ কুমারকে প্রস্তাব দিচ্ছি, বাতানুকূল ঘরে না থেকে একটু গ্রামে-গঞ্জে ঘুরুন। বিএলও-দের সমস্যাগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। তাঁদের উপর কী পরিমাণ চাপ দেওয়া হচ্ছে। চাপেই সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
সম্প্রতি রাজ্যপালের সঙ্গে তীব্র বিবাদ লেগে গিয়েছিল তৃণমূল সাংসদের। মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্য দেখে কেউ কেউ বলেই বসেছিলেন, এ যেন কবির লড়াই। তবে ভাষার মান অনেকটাই নিম্ন। কিন্তু সেই লড়াই কোথায় এসে থামল? একেবারে মামলায়। কল্যাণের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাল্টা মামলা দায়ের করলেন কল্যাণ। কিন্তু তারপরেও ক্ষান্ত হলেন না তিনি। বজায় রইল খোঁচা।
এদিন রাজ্যপাল প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য় করতে চাই না। উনি ওনার মতো নাচুন, গান গাক, যা করছেন, খুব ভাল করছেন। আপনি কৃষ্ণের দশম অবতারের এক অবতার।’