হুগলি: গণেশ এসেছে, লক্ষ্মী এসেছে, এবার পালা কার্তিকের। ফের উৎসবে মাতোয়ারা হতে চলেছে বাংলা। জোরকদমে চলছে কার্তিক পুজো তোড়জোড়। আর কার্তিক পুজো মানেই যেন একটা অন্য আমেজ। হাসি-মজা-মস্করার মধ্যেই সুসন্তানের আশায় চলে প্রার্থনা। কত নবদম্পতির বাড়িতে ইতিমধ্যেই পড়েছে কার্তিক। আম-আদমি থেকে সেলিব্রেটি, পুজোর আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যায় সকলকেই। হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কখনও পড়েছে নাকি কার্তিক ঠাকুর? হাসতে হাসতেই ফাঁস করলেন রহস্য।
এদিন বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে পোলবার বরুনানপাড়ায় কৃষি খামার প্রাঙ্গনে গিয়েছিলেন রচনা। রাজনীতি থেকে উৎসব নানা বিষয়ে কথা বলেন। জগদ্ধাত্রী পুজোয় যা চন্দননগরে আসতে পারেননি তা নিয়ে আক্ষেপের সুরও শোনা যায় সাংসদের গলায়। এরইমধ্যে ওঠে বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজোর প্রসঙ্গ। কিন্তু সাংসদের বাড়িতে কী পুজো হয়? রচনার খোলামেলা উত্তর, ‘আমার বাড়িতে কখনওই কার্তিক পুজো হয় না’। কিন্তু তাই বলে বন্ধু-বান্ধবেরা কখনও কার্তিক ফেলেনি? সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনে ততক্ষণে হাসতে শুরু করে দিয়েছেন রচনা। পাশে দাঁড়ানো অনুগামীদের মুখেও মুচকি হাসি। হাসতে হাসতেই রচনার উত্তর, ‘না না, আমার বাড়িতে কার্তিক পড়েনি। আর কার্তিক ফেলার সময়ও নেই।’
প্রসঙ্গত, উৎসব-পুজো ছাড়াও এদিন রাজ্যজুড়ে চলা ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়েও মুখ খোলেন সাংসদ। বলেন, ‘কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে সেটা দেখতে হবে। অবশ্যই বিহিত করতে হবে।’ এদিকে ট্যাব ইস্যুতে লাগাতার শাসকদল তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। যদিও তাতে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ সাংসদ। খানিক খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘ওনারা তো বলতেই থাকবেন। লোক তো কিছু ক্যাহেঙ্গে, লোক গো কা কাম হ্যায় ক্যায়না।’