AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: রাত্রিবেলা স্ত্রীকে আনতে গিয়েছিলেন, পথেই হাড়হিম ঘটনার সাক্ষী থাকলেন দম্পতি

Hooghly: জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ শেষ লোকালে সিমলাগড় স্টেশনে স্ত্রীকে আনতে যাচ্ছিলেন তারক মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি।

Hooghly: রাত্রিবেলা স্ত্রীকে আনতে গিয়েছিলেন, পথেই হাড়হিম ঘটনার সাক্ষী থাকলেন দম্পতি
হুগলির পাণ্ডুয়ায় আক্রান্ত দম্পতি (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2023 | 8:51 AM
Share

হুগলি: কাজের সুবাদে অনেকটাই রাত্রি হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে তাঁকে আনতে স্টেশন গিয়েছিলেন স্বামী। তখনই কয়েকজন দুষ্কৃতী হামলা চালায় ওই প্রৌঢ়ের উপর। তাদের মারে গুরুতর জখম হন তিনি। হুগলির পাণ্ডুয়ার রেলগেট এলাকার ঘটনা।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ শেষ লোকালে সিমলাগড় স্টেশনে স্ত্রীকে আনতে যাচ্ছিলেন তারক মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী মিনতি মণ্ডল কোন্নগরে ক্যাটারিং এর কাজে গিয়েছিলেন। রাতে একা মহিলা বাড়ি ফিরবেন সেই কারণে তাঁর স্বামী স্টেশনে আনতে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সিমলাগড় জি টি রোড দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তারকবাবুকে রাস্তা থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। মারের আঘাতে তাঁর মাথায়, হাতে ও পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। কোনও রকমে সেখান থেকে তাঁর পরিবারের এক সদস্যকে ফোন করে জানালে পরিবারের লোকজন এসে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এরপর তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছয় পান্ডুয়া থানার ওসি অর্ণব গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী হাজির হয় হাসপাতালে।

তারক মণ্ডল জানান, “স্ত্রীকে আনতে স্টেশনে যাচ্ছিলাম। সে সময় রাস্তার উপর থেকে আমাকে টেনে একটি বাড়ির মধ্যে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। যারা মেরেছে তাদের নাম বলতে পারব না। দেখলে চিনতে পারব।” কেন মারল সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “পাড়াতে তিন দিন আগে চুরির ঘটনা ঘটছে। তাদের সন্দেহ আমি চোর। ঠান্ডায় চাদর মুড়ি দিয়ে যাচ্ছিলাম। এই সমস্ত অভিযোগ তুলে ১০-১২ জন মিলে টালি দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।”

তারকের ছেলে অমিত মণ্ডল বলেন, “হাওড়া বর্ধমান মেন লাইনে শেষ আপ ট্রেনে মা বাড়ি ফিরছিল।বাবাকে বলি মাকে আনতে যেতে। যাবার পথেই বাবাকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ১০ থেকে ১৫ জন মিলে মারধর করে।” একই সঙ্গ তিনি বলেন, “আমি বিজেপি করি। ৮৯ নম্বর বুথের এবারে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়াবো। টার্গেট ছিল আমার উপর। সেটা বাবা উপর গিয়ে পড়ল। যারা মেরেছে তারা তৃণমূল করে। বাবাই ফোন করে ঘটনার কথা জানায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে আমরা হাসপাতলে নিয়ে আসি।”

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় রাজনীতির কোনও যোগ নেই। একটা মারধরের ঘটনা ঘটেছে, তদন্ত চলছে,ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করা হয়েছে।