Medicine shortage: সরকারি হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতি, করোনা পরিস্থিতিতে রীতিমত নাজেহাল অবস্থা রোগীদের!

Arambag: এই মুহুর্তে হাসপাতালে নেই প্যারাসিটামল। নেই কোনও অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ।

Medicine shortage: সরকারি হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতি, করোনা পরিস্থিতিতে রীতিমত নাজেহাল অবস্থা রোগীদের!
ওষুধ না পেয়ে নাজেহাল রোগীরা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 11, 2022 | 1:23 PM

আরামবাগ: রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ গ্রাফ। এর মধ্যে একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তা বেড়েছে কলকাতা থেকে জেলার সব হাসপাতালগুলিতে। এইসবের মধ্যে আবার ওষুধ নিয়ে বিপত্তি দেখা গেল আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট, এমোক্সিসিলিন ট্যাবলেট হাসপাতালে না থাকায় রোগীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।

জানা গিয়েছে, এই মুহুর্তে হাসপাতালে নেই প্যারাসিটামল। নেই কোনও অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ। শুধু কি তাই?  স্যালাইনের জোগান পর্যন্ত কম। আর এতেই চরম বিপাকে পড়েছেন হাসপাতালে আসা বহির্বিভাগের রোগীরা।

এদিকে এই হাসাপাতালে বহু দূর দূরান্ত থেকে রোগীরা আসেন বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে। লম্বা লাইন পড়ে যায়। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর কাউন্টারে এসে যখন শোনেন প্যারাসিটামল নেই, নেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ফলতই বিপাকে পড়ছেন তাঁরা। চিকিৎসকরা রোগীদের বলে দিচ্ছেন বাইরে থেকে ওষুধ কিনে নেওয়ার কথা। রীতিমত হতাশ হয়ে তাদের বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। আর না হলে বাইরে থেকে কিনে নিতে হচ্ছে।

রোগীদের বক্তব্য, এই সমস্যার সমাধান না হলে তারা কী করবেন। এর থেকে কোনও বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হলেই ভালো। এই বিষয়ে এক উপভোক্তা বলেন, “যেটা দাবি ওষুধ সেই ওষুধই পাওয়া গেল না হাসপাতালে। এখন এই ওষুধ প্রয়োজন বয়স্ক মানুষেদের জন্য। তাই আমারা চাইছি যত শীঘ্র সম্ভব সেই ওষুধ যেন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা  প্রেসক্রিপসনে লিখে দিলে যেন সুব্যবস্থা পাই সরকার সেই বিষয়টি যেন দেখে।” আরও এক সাধারণ মানুষের কথায়, “আমরা রোগী নিয়ে এসে খুবই সমস্যায় পড়ছি। একে ঔষুধ নেই। তার উপর আবার স্যালাইনের জোগান কম। দ্রুত যেন সরকার বিষয়টিতে নজর দেয় তাই চাইব। কারণ বাইরে থেকে ওই দামী ওষুধ কেনার সামর্থ আমাদের নেই। ”

তবে আদৌ কি হুঁশ আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর? অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করার দাবি করেছেন তারা। অন্যদিকে ৯৫ বেডের কোভিড হাসপাতালে ১০ জন কোভিড আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন। আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৬ জন ডাক্তার ও ৬ জন স্টাফ নার্স কোভিড আক্রান্ত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ক্যামেরার সামনে মুখ খোলেনি।

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: গঙ্গাসাগরের নজরদারি কমিটি থেকে বাদ পড়লেন শুভেন্দু, ‘জয়’ দেখছে রাজ্য