টোটো-র জন্য রাস্তায় হাজার সমস্যা! এবার বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার
টোটোর জন্য কোনও রুট পারমিট নিতে হয় না। ফলে যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন টোটো চালকরা। ফলে সারা বাংলা জুড়ে বহু বেকার যুবক টোটো চালিয়ে রোজগার শুরু করেছেন গত কয়েক বছরে।
হুগলি: ব্যাটারিচালিত এই বাহনকে একসময় সাদরেই গ্রহণ করেছিল সাধারণ মানুষ। কম খরচে সহজেই অনেকটা পথ পৌঁছে যাওয়া যায়। তবে গত কয়েক বছরে রাজ্যে অনেকটাই বেড়েছে টোটোর সংখ্যা। যার ফলে শহর বা শহরতলীর একাধিক জায়গায় বেড়েছে যানজট। টোটো নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ।
রাস্তায় টোটোর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যবাবে বেড়ে যাওয়ার ফলে যানজট বেড়েছে। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনাও বাড়ছে বলে অভিযোগ। তাই এবার কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্যের পরিবহন দফতর। টোটোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চাইছে রাজ্য সরকার।
টোটোর জন্য কোনও রুট পারমিট নিতে হয় না। ফলে যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন টোটো চালকরা। ফলে সারা বাংলা জুড়ে বহু বেকার যুবক টোটো চালিয়ে রোজগার শুরু করেছেন গত কয়েক বছরে। ক্রমাগত বেড়েছে ব্যাটারি চালিত গাড়ির সংখ্যা। বর্তমানে সারা বাংলা জুড়ে প্রায় ১০ লক্ষ টোটো রয়েছে। যার ফলে শহরের অধিকাংশ এলাকাতেই তৈরি হচ্ছে যানজট।
পথচারী থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালক, স্কুলবাস চালকদের অভিযোগ তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। অনেকেই টোটোর বিরুদ্ধে অভিযোগও করেন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেন, “একজন টোটো চালকও তাদের জীবিকা হারাক এটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা আমরাও কেউ চাই না। তবে টোটো চালকরা সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে চালালে শহরের বিভিন্ন এলাকাকে যানজট মুক্ত রাখা যাবে। পুলিশ প্রশাসন, পুরসভা ও পঞ্চায়েত সমিতি সকলকে নিয়েই এই সিস্টেম তৈরি করা হবে।”
যে সমস্ত টোটো চালক আছে, তাদের রেজিস্ট্রেশন করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই তার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তবে প্রত্যেক টোটো চালকই টোটো চালাবেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, টোটোর কোনও রুট হয় না। টোটোর কাজ হল যাত্রীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বাস রাস্তা বা হাইরোডের কাছে পৌঁছে দেওয়া। যেহেতু তাদের কোন নির্দিষ্ট রুট নেই, তাই তাদের রুট পারমিটও নেই। তবে বাজার বা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একসঙ্গে যাচ্ছে বলে যানজট তৈরি হচ্ছে। টোটোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে এবং তাদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)