
হুগলি: দু’জনেই বিনোদন জগতের মানুষ। একজনের রাজ্যের দিদি নম্বর ১, অন্যজন মহাগুরু, কাঁপিয়েছেন বলিউড। একজন তৃণমূলে, একজন বিজেপিতে। এদিন হুগলির বাঁশবেড়িয়াতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রচনা। এদিকে এরইমধ্যে বিজেপির পরিবর্তন সংকল্প যাত্রায় মানকুন্ডুতে আসছেন মিঠুন। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই একেবারে আবেগতাড়িত হয়ে পড়তে দেখা যায় রচনাকে। দুই দলের রাজনৈতিক লড়াই যে ভোটমুখী বঙ্গে ফের নতুন মাত্রা পেয়েছে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু রাজনৈতিক বৈরিতা থাকলেও ভোটের আগে ভোটমুখী বাংলায় বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ভূয়সী প্রশংসায় এক্কেবার পঞ্চমুখ হতে দেখা গেল হুগলীর সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তা নিয়েই চর্চা দুই তরকার ভক্তরা।
এদিন হুগলির বাঁশবেড়িয়াতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রচনা। এদিকে এরইমধ্যে বিজেপির পরিবর্তন সংকল্প যাত্রায় মানকুন্ডুতে আসছেন মিঠুন। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই একেবারে আবেগতাড়িত হয়ে পড়তে দেখা যায় রচনাকে। বলেন, “মিঠুন চক্রবর্তীর প্রতি আমার আলাদা রকমের সম্মান ও ভালোবাসা সব সময় আছে। আমি তাকে রাজনীতিবিদ হিসাবে দেখি না। আমার শুধু নয়, সারা ভারতবর্ষের মহানায়কের পরে যদি কেউ থাকে তিনি মিঠুন চক্রবর্তী। বাঙালি হওয়ার পরেও ভারতবর্ষের বুকে এইভাবে রাজ করেছেন তিনি।”
এখানেই না থেমে খানিক স্মৃতিচারণা করতে দেখা যায় তাঁকে। মিঠুনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অবতারণাও শোনা যায় রচনার মুখে। সাফ বলেন রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাকতে পারে কিন্তু রচনার মনে মিঠুনের জায়গা বরাবরই অনন্য। রচনা আরও বলেন, “উনি একজন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা। সেই জায়গাটা আমার কাছে সব থেকে বড়৷ আমরা সঙ্গে অনেক ছবিতে কাজ করেছেন। আমার নায়ক ছিলেন। রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা দুজনের আলাদা হতে পারে, কিন্তু সেটা ছেড়ে দিলে তিনি আমার কাছে ভীষণ ভীষণ ভালবাসার একজন মানুষ।”