BJP Joining: ‘তৃণমূলের দুর্নীতির’ জন্য সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে এলেন ২০০ জন
BJP: বুধবার বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা অফিসে গিয়ে পদ্ম ফুলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ। বিজেপিতে যোগদানের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আরামবাগের বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগও।
আরামবাগ: লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই আবার শুরু হয়েছে ভাঙা-গড়ার খেলা। প্রতিটি দলই নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। আর এবার সিপিএমের নীচু তলা থেকে এক ঝাঁক কর্মী-সমর্থক ছিনিয়ে আনল বিজেপি। বুধবার বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা অফিসে গিয়ে পদ্ম ফুলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ। বিজেপিতে যোগদানের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আরামবাগের বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগও। বিজেপির দাবি, প্রায় ২০০-র বেশি কর্মী-সমর্থক সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব বার বার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বিজেপির ইস্যুতে। মহম্মদ সেলিম, বিমান বসুরা বার বার বলেছেন, তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ের বিরুদ্ধে সমানভাবে লড়াই চালিয়ে যাবে লাল পতাকা। নীতি, আদর্শগত দিক থেকেও দুই দল দুই মেরুতে। সেই জায়গায় লোকসভা ভোটের মুখে এই দলবদলের কারণ কী? সেই নিয়ে প্রশ্নে আবার এক সদ্য লাল ঝান্ডা ছেড়ে বেরিয়ে আসা মহিলা দাবি করলেন, ‘তৃণমূলের দুর্নীতির’ জন্য সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। তাঁর বক্তব্য, সিপিএম থেকে তাঁরা কোনওভাবে সাহায্য পাননি। তাই এই সিদ্ধান্ত। অপর এক বিজেপিতে যোগ দেওয়া ব্যক্তি বললেন, “সিপিএম থেকে আমরা কোনও সাহায্যই পাইনি। তৃণমূল যেভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত, সেই কারণে আমরা সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগ দিলাম।”
উল্লেখ্য, এদিন প্রায় ১২ জন সিপিএম কর্মী ও সমর্থক বিজেপি অফিসে গিয়ে যোগদান করেন। তবে তাঁদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে আরও ২০০ জন লোক রয়েছেন। তবে সন্ধে হয়ে যাওয়ার কারণে সকলে আসতে পারেননি।
বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ বললেন, “ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে। সিপিএম, তৃণমূল, কংগ্রেসের নীচু তলার একনিষ্ঠ কর্মীদের মনে আঘাত লেগেছে। তাই তাঁরা সংকল্প নিয়েছেন, ভারতে মোদী ছাড়া কেউ নেই। তাই তাঁরা সবাই উন্নয়নের জোয়ারে গা ভাসিয়ে সবাই একত্রিত হচ্ছেন।” এই দলবদলের বিষয় নিয়ে আরামবাগের প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিএম নেতা শক্তিমোহন মালিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। এটি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।