তারকেশ্বর: পানিহাটি, ঝালদার পর এবার তারকেশ্বর। তৃণমূল কাউন্সিলরকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে তারকেশ্বরে। রূপা সরকার। তারকেশ্বর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে তারকেশ্বর পুরসভায় মিটিং সেরে ওয়ার্ড সভাপতি অশোক গাইনের বাইকে চড়ে বারো নম্বর ওয়ার্ডের বাজিতপুর এলাকায় দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন রূপা সরকার। অভিযোগ, সেই সময় বারো নম্বর রোডের জোৎসম্ভু রেল গেট এলাকায় একটি চার চাকা মারুতি ভ্যান সজোরে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।
তবে গাড়িতে কে বা কারা ছিল তা তিনি দেখতে পাননি। ঘটনাস্থলে বাইক থেকে বুথ সভাপতি ও কাউন্সিলর ছিটকে পড়েন এবং গুরতর চোট পান দু’জনই। স্থানীয়রা উদ্ধার করে দু’জনকেই তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতলে ভর্তি করেন। এই বিষয়ে কাউন্সিলর রুপা সরকার বলেন, “প্রতিদিনের মতোই পুরসভা থেকে বেরিয়ে ছিলাম। আমি বাইকে ছিলাম। হঠাৎ একটা মারুতি এসে ধাক্কা মারে আমায়। ছিটকে পড়ে যাই। তবে গাড়ির ভিতরে কে বা কারা ছিল তা জানতে পারিনি। কারণ তার আগেই গাড়িটি পালিয়ে যায়।”
অন্যদিকে, তারকেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম কুন্ডুর দাবি কাউন্সিলরের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশকে পুরো ঘটনা জানানো হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের কাউন্সিলর ফিরছিলেন। সেই সময় একটি মারুতি গাড়ি ধাক্কা মেরেছে। আমাদের ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। দু’জনই ভয়ঙ্কর ভাবে চোট পেয়েছেন। বুঝতে পারলাম না মারুতিটা কীভাবে মারল, কী করল! এখানেই শেষ নয়, পুরসভা থেকে বেরোনোর পরও গাড়িটি নাকি দাঁড়িয়ে ছিল।” এদিকে, ওই এলাকায় থাকা সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: ‘ভাদু নেই কে বাঁচাবে ?’, ব্যাগ গুছিয়ে অন্যত্র রওনা তাঁর বৌদির
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: ‘রামপুরহাট থানার পুলিশের সামনেই জ্বালিয়ে দিল, ওরা একতরফা, ন্যায়বিচার করে না’