Bagtui Massacre: ‘ভাদু নেই কে বাঁচাবে ?’, ব্যাগ গুছিয়ে অন্যত্র রওনা তাঁর বৌদির
Rampurhat: ভিটে মাটি রয়ে গিয়েছে ভাদু শেখের। হাতের সামনে যেটুকু পেয়েছেন তা নিয়েই ঘর ছেড়েছেন ভাদু শেখের পরিবারের সদস্যরা।
বীরভূম: সোমবার রাতের পর থেকে উঠে আসে ভাদু শেখের নাম। তিনি এই এলাকার শুধু উপ-প্রধান ছিলেন না, তৃণমূলের একটি ভালো পদে ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। ভাদু শেখের দাদা খুনের পর তাঁর প্রতি যাবতীয় আশা-ভরসা ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সোমবার রাতে তাঁকেও খুন করা হয়। সেই তদন্ত চলছে। তাড়া করে বেরোচ্ছে আতঙ্ক। এখনও ভিটে মাটি রয়ে গিয়েছে ভাদু শেখের। হাতের সামনে যেটুকু পেয়েছেন তা নিয়েই ঘর ছেড়েছেন ভাদু শেখের পরিবারের সদস্যরা। শুধু ভাদুর পরিবারের সদস্যরাই নন, গতকালই এলাকা ছাড়া হয়েছেন সেখানকার স্থানীয়রা। পুলিশ রয়েছে, কিন্তু তারপরও কাটছে না আতঙ্ক।
ভাদু শেখের বৌদি বলেন, “আতঙ্ক রয়েছে। কোথাও যদিও আমাদেরও মেরে দেয় আমরা তো কিছুই করতে পারব না। পলাশ শেখ এই কাজ করেছে। এখন আমার স্বামী নেই, ছেলে নেই, কেউ নেই। কে বাঁচাবে? এখন ভাদু নেই। ভাদু থাকলে হয়ত থানা-পুলিশ থেকে বাঁচাতে পারত। সবাই ভাদুর ভরসায় ছিলাম। এখন ভাদু নেই। কে রক্ষা করবে আমাদের?”
কে এই ভাদু শেখ?
টোল প্লাজার লেবার কনডাক্টর থেকে ধীরে-ধীরে নেতা হয়ে উঠেছিলেন ভাদু। এক এলাকাবাসী বললেন, “কব্জির জোরেই ভাদু তৃণমূলের উপ-প্রধান হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু আসলে একজন অপরাধী। ওর সঙ্গে যারা থাকতেন তারাও অপরাধী। ২০ থেকে ৩০ হাজার কী তারও বেশি। এত-এত টাকা দিয়ে গুণ্ডা পুশত।”
সূত্রের খবর, ২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল নাগাদ ভাদু একজন সাধারণ কর্মচারি ছিলেন। ২০১২-তে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। ধীরে-ধীরে তৃণমূলের নেতা হয়ে ওঠেন। অভিযোগ, একটা সময় বাইরে থেকে লোক এনে ভাদু নাকি বোমা বাঁধছিলেন। তখন মৃত্যু হয়েছিলে আট জনের। এরপর ভাদুর নামে অভিযোগ ওঠে তিনি বিভিন্ন জায়গায় লোকজন সংগঠিত করে বিভিন্ন কাজ শুরু করেন। পুলিশের খাতায় সেই অভিযোগ থাকলেও তারা মুখ খুলতে নারাজ। ভাদু শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঝাড়খন্ড থেকে যে সকল কয়লার গাড়ি রামপুরহাটের দিকে যেত তাদেরকে লিখিত প্যাডে টাকা দিতে হত।
বস্তুত, বগটুই কান্ডে তদন্তভার নিতে কি আদৌ প্রস্তুত সিবিআই? কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে প্রশ্ন করে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। তদন্ত করতে যে সিবিআই প্রস্তুত, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই বগটুই কান্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে। আদালতের এদিনের পর্যবেক্ষণের পর এই বিষয়টি আরও জোরাল হল। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে আদালত।
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: ‘রামপুরহাট থানার পুলিশের সামনেই জ্বালিয়ে দিল, ওরা একতরফা, ন্যায়বিচার করে না’