Haimanti Ganguly : ‘ওটা সুপারিশের লিস্ট’, হৈমন্তীর ফ্ল্যাট থেকে নথি উদ্ধারে বিস্ফোরক টেট আন্দোলনকারী অচিন্ত্য

Haimanti Ganguly : ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের অত্যাচার থেকে জেল হেফাজত সবই সহ্য করতে হয়েছে তারকেশ্বরের অচিন্ত সামন্ত্যকে।

Haimanti Ganguly : ‘ওটা সুপারিশের লিস্ট’, হৈমন্তীর ফ্ল্যাট থেকে নথি উদ্ধারে বিস্ফোরক টেট আন্দোলনকারী অচিন্ত্য
বিস্ফোরক অচিন্ত্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 25, 2023 | 11:49 PM

তারকেশ্বর : নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই সামনে আসছে একের পর এক নতুন নাম। কুন্তল গ্রেফতার হতেই বারবার শোনা যাচ্ছিল গোপাল দলপতির নাম। সম্প্রতি সেই কুন্তলের মুখে শোনা গিয়েছে গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের (Haimanti Ganguly) নাম। তাঁর ফ্ল্যাটের বাইরে থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু রহস্যজনক কাগজ। যে কাগজে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে একাধিক সিরিয়াল নম্বর ও রোল নম্বরের মতোই কিছু সংখ্যা। যা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। এবার এ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন চাকরিপ্রার্থী তথা টেট আন্দোলনকারী অচিন্ত্য সামন্ত। তাঁর সাফ দাবি, হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সামনে পাওয়া নথিই প্রমাণ করে ব্যাপক হারে দুর্নীতি হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। অনেককেই সুপারিশ করা হয়েছিল চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য।

এদিকে সাধারণত ৯ ডিজিটের রোল নম্বর হয় চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে। হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজে ৯টি নম্বরই লেখা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে অচিন্ত্য বলেন, “হৈমন্তীর বাড়ির সামনে থেকে পাওয়া নামের লিস্ট আমি মিডিয়ার মাধ্যমে পেয়েছি। তা দেখে আমি চমকে উঠেছি। সেই তালিকায় কিছু রোল নম্বর ছিল। নাম ছিল না প্রার্থীদের। ওই একই রোল নম্বরে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তিনজন চাকরি পেয়েছে। যে লিস্ট পাওয়া গিয়েছে তা যদি মেরিট লিস্ট হত তাহলে সেখানে নাম থাকা প্রত্য়েকেই চাকরি পেত। কিন্তু, তিনজন পেয়েছে। ওটা যে একটা রেকমেন্ডেশন লিস্ট ছিল তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।”

ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের অত্যাচার থেকে জেল হেফাজত সবই সহ্য করতে হয়েছে তারকেশ্বরের অচিন্ত সামন্ত্যকে। আজ সন্ধ্যায় কলকাতায় আন্দোলনরত সঙ্গীদের সঙ্গে যোগ দিতে যাওয়ার আগে টিভি-৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে অতীতের স্মৃতিচারণাও এদিন করতে দেখা গেল অচিন্ত্যকে। বলেন, “আমরা ক্যামাক স্ট্রিটে যে আন্দোলন করেছিলাম সেখানে একজন পুলিশ কর্মী আমাদের এক সহযোদ্ধার হাতে কামড়ে দিয়েছিল। সেই আন্দোলনের পর আমাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আমরা জামিনে মুক্ত হই। সেই মামলা এখনও চলছে।” কিন্তু, তারমধ্যে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে একাধিক মিডিলম্যানের নাম সামনে আসতে থাকায় তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে অচিন্ত্যদের। চাকরি কি আদৌও হবে? উত্তর নেই তাঁদের কাছে।