TMC: কখনও ৩ হাজার কখনও বা ৫! দেদার তোলাবাজি তুলেছেন তৃণমূল নেতারা

Hooghly: বিজেপি বলছে, "তৃণমূলের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সব নেতাই দূর্নীতিগ্রস্ত। তোলা যেই তুলুক ভাগ সবাই পায়।"

TMC: কখনও ৩ হাজার কখনও বা ৫! দেদার তোলাবাজি তুলেছেন তৃণমূল নেতারা
দেদার চলছে তৃণমূল নেতাদের তোলাবাজি (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2021 | 4:47 PM

ডানকুনি: প্রথমে তৃণমূল কার্যালয়ের নামে বিল। তারপর সেই বিল দেখিয়ে চাঁদার নামে তোলাবাজির অভিযোগ দলেরই চার নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ও ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলের বিরুদ্ধে। এরপর ওয়ার্ড সভাপতিকে দল থেকে বহিষ্কার করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের ডানকুনি শহর তৃণমূলের। অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্তদের।

অনেকদিন ধরেই তৃণমূল কার্যালয়ের নামে বিল ছাপিয়ে তোলাবাজি চলছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি, একটি চাঁদার বিল সামনে আসে। তাতে ডানকুনি দূর্গাপুর রোড চৌমাথা,চার নম্বর ওয়ার্ড ঠিকানায় আকবর আলি খন্দকার স্মৃতি ভবন লেখা রয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই তৃণমূল কার্যালয়ের নামেই চলছে তোলা আদায়।

এবার বিল দিয়ে কাউকে পাঁচ হাজার,কাউকে তিন হাজার টাকা চাঁদা কাটা হয়। কিন্তু বিলে নেই কারোর নাম। বিষয়টি নজরে আসতেই ডানকুনি শহর তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ রাহা ব্যবস্থা নিতে ডানকুনি থানায় অভিযোগ জানান। পাশাপাশি নিজের ফেসবুকেও ওই বিলের ছবি দিয়ে বার্তা দেন যে এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। যারা এসব করছে দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

Bill

এই বিল দেখিয়ে তোলা হয় চাঁদা

প্রকাশ রাহা বলেন,এই ঘটনায় আমরা খোঁজ নিয়ে চার নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শেখ আলি ও প্রাক্তন কাউন্সিলর হাসান মণ্ডলের নাম পেয়েছি। তারা ডানকুনি তৃণমূল কংগ্রেসের নামে বিল ছাপিয়েছে, রেজিস্ট্রেশন নম্বরও দিয়েছে। প্রয়াত নেতা আকবর আলি খন্দকারের নাম ব্যবহার করেছে অথচ তার পরিবারকে জানানো হয়নি। সেখানে বিধায়কের ছবি আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আছে যেটা আমরা জানিনা।

এই ঘটনার জন্য চার নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শেখ আলিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। হাসান মণ্ডলের নামেও আমরা দলকে অভিযোগ করছি। যেহেতু সে কাউন্সিলর ছিল। দল ব্যবস্থা নেবে। প্রশাসনিক ভাবেও এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।দলের নেত্রী বলে দিয়েছেন চাঁদা তোলা যাবে না। সেখানে এসব করা মানে এরা দলের অনুগত নয় । এসব কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

অভিযুক্ত হাসান মণ্ডলের দাবি,তৃণমূলের জন্ম লগ্ন থেকে তিনি দল করছেন দলের নিয়মকানুন তার জানা আছে।তার ওয়ার্ডে সিপিএমের একটি পার্টি অফিসকে তৃণমূল পার্টি অফিস করা হয়।তার নামকরণটা তিনি করেছিলেন সেটা দলের নেতারা জানে। সামনে পুরসভার ভোট আসছে তাই হয়তো তাকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উঠেছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।ওয়ার্ড সভাপতি শেখ আলিও অভিযোগ অস্বীকার করে দলীয় কর্মিদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন।

আর এই ঘটনায় খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। ডানকুনি বিজেপির অভিযোগ, ডানকুনি পুরসভা এলাকার তৃণমূলের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সব নেতাই দূর্নীতিগ্রস্ত। তোলা যেই তুলুক ভাগ সবাই পায়।

আরও পড়ুন: Kolkata Crime News: ঘর থেকে উদ্ধার ভাঙা চুরি, সন্দেহের তালিকায় ভাই! সোনালি পার্ক যুবক খুনে নয়া মোড়