AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murder Case: জামাইবাবুকে খুন করতে কাটারিতে শান, আটকাতে গেলে মাকে খুন করে যাবজ্জীবন জেলের পথে ছেলে

Murder Case: গোটা ঘটনাই ঘটে হাজিরা বিবির নাবালক ছেলে ও নাবালিকা মেয়ের সামনে। ভয়ে তারা দিদির বাড়ি পালিয়ে যায়। এরপরই সুকুরের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আনোয়ার। এ মামলাতেই সুকুরকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত।

Murder Case: জামাইবাবুকে খুন করতে কাটারিতে শান, আটকাতে গেলে মাকে খুন করে যাবজ্জীবন জেলের পথে ছেলে
ধৃত সুকুর মল্লিকImage Credit: TV-9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2023 | 6:33 PM
Share

পান্ডুয়া: রোজই মদ খেয়ে ফিরত বাড়ি। মা বুঝিয়েছে, পাড়া-প্রতিবেশীরা বুঝিয়েছে। কিছুতেই কোনও কাজ হয়নি। দিনে দিনে আরও বাড়তে থাকে নেশা। এদিকে বাবা যে বকাঝকা দেবে সে উপায়ও নেই। বাবাও বুঁদ মদের নেশায়। এদিকে শ্যালককে অধঃপতনের হাত থেকে বাঁচাতে সুপরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেন জামাইবাবু। মদের নেশা ছেড়ে সংসারে মন দেওয়ার কথা বলেন। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে শ্যালক। কাটারি নিয়ে জামাইবাবুকে মারতে উদ্ধত হয় শ্যালক। ছেলের কাণ্ডকারখানা দেখে ভয় পেয়ে যান মা। ছেলেকে আটকাতে গিয়ে ছেলের হাতে খুন হয়ে যান মা। ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই এ ঘটনা ঘটে হুগলির পাণ্ডুয়ায়। তারপর থেকে জেলেই ছিলেন সুকুর মল্লিক। এদিন তাঁর যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনাল চুঁচুড়া আদালত। 

প্রসঙ্গত, পান্ডুয়া বোসপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন হাজিরা বিবির পরিবার। কিন্তু, কিছুতেই স্বামী করিম মল্লিক ও বড় ছেলে সুকুর মল্লিককে মদের নেশা থেকে বিরত করতে পারেননি। এরইমধ্যে এদিন মদের নেশা ছাড়ার জন্য সুকুরকে বোঝাতে যান জামাইবাবু আনোয়ার মল্লিক। তাতেই রেগে গিয়ে বাড়িতে কাটারিতে শান দিতে শুরু করেন। মা জিজ্ঞেস করলে সাফ জানান, জামাইবাবুকে খুন করবেন। তাই কাটারিতে ধার দিচ্ছেন। মা বাধা দিলে মাকে কুপিয়ে খুন করেন। 

গোটা ঘটনাই ঘটে হাজিরা বিবির নাবালক ছেলে ও নাবালিকা মেয়ের সামনে। ভয়ে তারা দিদির বাড়ি পালিয়ে যায়। এরপরই সুকুরের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আনোয়ার। এ মামলাতেই সুকুরকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত। অনাদায়ে আরও ২ হাজার টাকা জরিমানা ও আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় সুকুরের জামাইবাবু আনোয়ার মল্লিক বলেন, অনেক চেষ্টা করেছি। তাও ওকে ভাল করতে পারিনি। যা হবার তাই হল।