হরিপাল: একযোগে আন্দোলনে তৃণমূল-সিপিএম। হুগলির হরিপালে রেলের জমি দখলদারদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে একসঙ্গে আন্দোলনে নামল যুযুধান দুই পক্ষ। তা দেখেই জোর চর্চা হুগলির রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, রেলের ওই জায়গা ফাঁকা করা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চাপানউতোর চলছিল। কয়েকদিন আগেই রেলের তরফে নোটিসও দেওয়া হয়। স্পষ্ট জানানো হয় রেলের অধীনে থাকা জায়গা থেকে দখলদারদের উঠে যেতে হবে। যদি জায়গা খালি করা না হয় তাহলে উচ্ছেদ অভিযানে নামবে রেল। যদিও জায়গা ফাঁকা না হওয়ায় এদিন উচ্ছেদ অভিযানে নামল রেল।
এদিন সকাল থেকেই উচ্ছেদ অভিযানের জন্য হরিপাল স্টেশনে নামে প্রচুর রেল পুলিশ। আসে বুলডোজ়ারও। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, হরিপাল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ভাঙা হবে প্রায় ৩০০টি অবৈধ দোকান। যদিও তৃণমূল-সিপিএমের দাবি, বিকল্প জায়গার খোঁজ না দিয়ে কোনওভাবেই দোকানদারদের উচ্ছেদ করা যাবে না। মাঠে নামে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু। তাঁদের সঙ্গেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সুর চড়াকে দেখা যায় তৃণমূলকেও।
দুই শিবিরের আন্দোলনে সকাল থেকেই সরগরম হরিপাল স্টেশন চত্বর। ব্যানার-পোস্টার নিয়ে চলল স্লোগান। এলাকার এক বাম নেতা বলছেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে হকার উচ্ছদের বিরুদ্ধে রাস্তাতে আছি। যেখানেই হকারদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা হয়েছে আমরা প্রতিরোধ করেছি। অন্যদিকে হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না বলছেন, “রেল অবৈধভাবে হাকর ভাইদের উচ্ছেদের চেষ্টা করছে। তার বিরুদ্ধেই আমরা আজ প্রতিবাদে নেমেছি। এখানে প্রায় পৌনে চারশোর উপর দোকান আছে। একটা মাছের আড়ত আছে যেখানে এক হাজারের বেশি মানুষ কাজ করে। তাই আমরা ওদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।”