AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Chandannagar Crime: ‘তাড়াতাড়ি ফিরব’ জানিয়ে বন্ধুর সঙ্গে বারে গিয়েছিলেন, পরে ছেলেকে এই ভাবে দেখবে কল্পনা করেনি পরিবার

Hooghly: পরিরবার সূত্রে খবর, সুমন বুধবার সন্ধে নাগাদ তাঁর বন্ধু হাবুল খানের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হন। তাঁরা পোলবার রাজারহাটে একটি বার কাম হোটেলে ঢোকেন।

Chandannagar Crime: 'তাড়াতাড়ি ফিরব' জানিয়ে বন্ধুর সঙ্গে বারে গিয়েছিলেন, পরে ছেলেকে এই ভাবে দেখবে কল্পনা করেনি পরিবার
বাঁদিকে সুমন মাঝি, ডানদিকে হাবুল খান (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Mar 19, 2022 | 7:00 PM
Share

চন্দননগর: কয়েকদিন আগে বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন যুবক। রাত বাড়তে থাকায় যুবকের মা ফোন করেন তাঁকে। ছেলেটি জানায় কিছুক্ষণ সময় লাগবে তারপর বাড়ি ফিরবে। সেই কারণে আর চিন্তা না করেই মা ছেলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু রাত বেড়ে যাওয়ায় এবার আর চুপ করে বসে থাকেননি তিনি। বারবার ছেলেকে ফোন করতে থাকেন। কিন্তু ফোন তোলেননি ছেলে। পরের দিন অন্য এক বন্ধু খবর দেয় যে যুবক ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। সেখানেই ছেলেকে দেখতে ছুটে যায় পরিবার। ভালো চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। অন্যদিকে, যে বন্ধুর সঙ্গে ওই যুবক বেরিয়েছিলেন ঘুরতে সেও নিখোঁজ। তাহলে কি খুন করা হয়েছে যুবককে? কেন বা বাড়ি ফিরলেন না তিনি? এখন এই সকল প্রশ্নই তোলা হচ্ছে পরিবারের পক্ষ থেকে।

মৃত যুবকের নাম সুমন মাঝি (২৬)। পরিরবার সূত্রে খবর, সুমন বুধবার সন্ধে নাগাদ তাঁর বন্ধু হাবুল খানের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হন। তাঁরা পোলবার রাজারহাটে একটি বার কাম হোটেলে ঢোকেন। সেখানেই রাত পর্যন্ত থাকেন। এরপর রাতের দিকে সুমনের মা অন্ন মাঝি ফোন করলে সুমন জানান তিনি বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু অনেকটা সময় কাটলেও তাঁর আর বাড়ি ফেরা হয়নি।

এরপর বৃহস্পতিবার সকালে এক বন্ধু খবর দেয় সুমন চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পরিবারের লোকজন চুঁচুড়া থেকে ভদ্রেশ্বরের একটি হাসপাতালে ও পরে কলকাতায় ভালো চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি এই ঘটনায় হাবুল তাঁদের কোনও খবরই দেয়নি। সে একাই বাড়ি ফিরে আসে। পাশপাশি ঘুরতে যাওয়ার দিন হাবুল নিজের  বাইক সুমনের বাড়িতে রেখে যায়। ঘটনার পর সেই বাইকও নিয়ে যায়নি হাবুল।

এদিকে,পরিবারের সন্দেহ তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। এর সঙ্গে হাবুলই জড়িত। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে মুল অভিযুক্ত ধরা পড়বে। পোলবা থানায় লিখিত খুনের অভিযোগ করেছে পরিবার। প্রতিবেশী ও বাবা মায়ের অভিযোগ যদি দুর্ঘটনা হয় তাহলে গাড়ির কিছু হল না কেন? পাশপাশি সুমনের গায়ে একাধিক কাটা দাগ এল কীভাবে? বন্ধু যখন অসুস্থ তাহলে পরিবারের সঙ্গে দেখাই বা করল না কেন সে ? আর সেই নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পোলবা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে । এটা নিছক দুর্ঘটনা না খুন তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

আরও পড়ুন: Malda Chaos: নেশায় বুঁদ হয়ে পাড়ার বৌদিকে রঙ মাখানোর চেষ্টা, সফল না হয়ে যুবক যা করলেন শিউরে উঠছেন সবাই